পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দানধৰ্ম্ম ও দরিদ্র্য । S \O সেইরূপ দরিদ্রও আপন অভাব অপেক্ষা অধিক আকাঙ্ক্ষা করে। ফলতঃ দানের ভাণ্ডার বর্তমান থাকিলে এবং দাতার অস্তিত্ব প্ৰমাণীকৃত হইলে ভিখারীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাইতে থাকে। কৃতকৰ্ম্ম শ্রমজীবী শ্ৰমসমর্থ্য জানাইয়া ভিক্ষালব্ধ ধনে উদর পূণ করে। ইহার ফলে শ্রমজীবীর সংখ্যা হ্রাস হয়, উহাদের মজুরি বৃদ্ধি পায় এবং উৎপন্ন সামগ্রীতে দেশের অভাব পূর্ণ হয় না ; অপিচ দারিদ্র্য-দুঃখ অবশ্যম্ভাবী হইয়া পড়ে। এই জন্যই পাশ্চাত্য দেশসমূহে ব্যক্তি নিচয়ের সমবায়ে যে দানअभड প্ৰতিষ্ঠিত আছে, উহাতে ङभtद*न्म ( work-house ) সংস্থাপিত হয় । কেবল শ্রমসমর্থ ব্যক্তি যে তথায় আশ্রয় লাভ করে, এরূপ নহে কৰ্ম্মসংস্থানহীন অথবা অঙ্গহীনের মধ্যে যাহাদিগ দ্বারা শ্রমবিভাগে যে পরিমাণ কাৰ্য্য পাওয়া যহেতে পারে, তাহাদিগকে ও কৰ্ম্ম করাইয়া নিজোপাৰ্জন সুখ অনুভব করিতে দেওয়া হয়। পদহীন ক’লে সেলাই করে, হস্তহীন পাদদ্বয়ের সাহায্যে কল চালনা করে ; অলস ব্যক্তি কৰ্ম্ম করিতে অভ্যস্ত হইয়া কৰ্ম্মগৃহ ত্যাগ করতে ইচ্ছুক হয় এবং স্বাধীন ভাবে জীবিকা- অর্জনে দৃঢ় সঙ্কল্প হইয়া থাকে। ভারতবর্ষে ইউরোপীয় প্ৰজাদিগের সম্বন্ধে ১৮৭৪ সালের ৯ আইনের মতে এরূপ বিধিবদ্ধ হইয়াছে যে, প্ৰকাশ্যে ভিক্ষা চাহিলে অথবা অকারণ ঘুরিয়া বেড়াইলে তাহারা দণ্ডনীয় হয় এবং তাহাদিগকে কৰ্ম্মগৃহে লইয়া গিয়া কৰ্ম্ম করাইয়া অন্নদান করা হয় ; যাহারা শ্রমসমর্থ তাহাদিগকে অন্নসত্রে (alms-house) C33 <53 & ভারতবর্ষে গোরক্ষিণী সভা ভিন্ন ইত্যর দরিদ্র গণের প্রতিপালন নিমিত্ত অন্য কোন সমাজ দেখিতে পাওয়া যায় না । গোধন-বৃদ্ধিতে যে, দেশের ধনাগম হয় তাহাতে আর সন্দেহ কি ? এবং উহার প্রতিপালনে বলিষ্ঠকায় হইতে করাষকারিণী বৃদ্ধার ও যে অন্নসংস্থান হইতে পারে, তদ্বিষয়ে অণুমাত্ৰও সন্দেহ নাই ।