পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (প্রথম খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/১৮১

9iffiti è । যখনই দেশে বা সমাজে অভাব ও প্রয়োজনীয়তা পরিদৃষ্ট হয় তখনই এক একটি সমস্যার সমাধানে অনেকেই চিন্তিত হযেন । কিন্তু বড লোকেরাঙ্গ তাহার মীমাংসা করিতে পাবেন । যে দেশে সেই সময় মহাজনের আবির্ভাব হয় সেই দেশই ধন্য। মহাজনেবা ধৰ্ম্মকে নীতিকে, দেশকে, সমাজকে, কলাবিদ্যাকে, ভাষাকে, শিল্পকে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয বিষয়কে উন্নত করিতে যে পন্থা অবলম্বন করিয়াছেন, আমরা সেই পন্থা অবলম্বন করিলে সকলেই উন্নত হইতে পারিব, নচেৎ আমরা আত্মসংযমে অপারগ হইব, আত্মচিন্তা ও আত্মভাব পরিস্ফাট করিতে অক্ষম হইব, এবং আত্মরক্ষায় অসমর্থ হইব। কোন মহাপুরুষেব জীবনী পাঠ কবিলে মন সহসা তদীয় লোকোত্তব কীৰ্ত্তিকলাপে নিমগ্ন হইযা পড়ে এবং তাহার অনুপম সদগুণাবলীর অনুকাবণে স্বতঃই ব্যগ্ৰী হইযা থাকে। কি বাম্পযজের উৎকর্ষ সাধন কবিতে, কি বয়ন যন্ত্রের অভাব পূরণ করিতে, কি মৃৎশিল্পের উন্নতি সাধন কবিতে, কেবল যে এক ব্যক্তি যাবজীবন পরিশ্রম করিযাছেন। এরূপ নহে, এক ব্যক্তি যতদূর অগ্রসব হইযাছেন, পরবর্তী ব্যক্তি তদপেক্ষা অধিক অগ্রসর হইয, উন্নতির নিকট অথবা শেষ সীমায় উপনীত হইয়াছেন। আমরা যাহা কিছু উত্তম পাঠ করি, যাহা কিছু উত্তম শিক্ষা করি, যাহ। কিছু ভক্ষণ করি, যাহা কিছু পরিধান কবি, এক কথায় যাহা কিছু ভোগ করিয়া চবিতাৰ্থ বোধ কবি, তাহ প্ৰথমেই এবৰূপ ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় প্ৰাপ্ত হওয। যায নাই । সেগুলিব উৎপাদন ও প্রস্তুতির মূলে বড় লোকে বা অধ্যবসায় ও কৰ্ম্মপরম্পরার ফলসমষ্টি সন্নিহিত আছে । পরোপকাৰীব জীবনী পাঠে আমরা উপলব্ধি করিতে পারি যে, দয়া বা কারুণ্যে, এবং সহানুভূতি ও উপকার করিবার ইচ্ছায়, প্রণোদিত হইয়া ভঁাহাবা পরোপকার সাধন করেন-প্লত্যুপকার পাইব এ ভাৰ