సి.ఆ বিবিধ প্রবন্ধ । বঙ্গ সমাজে ইংরাজ পূজা । সুয়েজ প্রণালীর স্বষ্টিকৰ্ত্তা এবং বহু দেশের আচার ব্যবহারের দ্রষ্টা বিচক্ষণবর লেসেপ সাহেব বলেন যে, মিশরদেশ কখন কোন ইউরোপীয় জাতির অধীন হইয়া থাকিবে না। কারণ মিশর দেশীয় রমণীগণ কখনই ইউরোপীয়দিগকে বিবাহ করিতে সম্মত হয় না। একথার তাৎপৰ্য্য এই যে, পতিভাবে গ্রহণই ভক্তি এবং প্রণয়ের চিহ্ল ; মিশরীয় স্ত্রীলোকেরা যখন ইউরোপীয়দিগকে পতিভাবে গ্রহণ করিতে অনিচ্ছু, যখন ভক্তি প্রেম-সুলভ স্ত্রীস্কদয়েও ইউরোপীয়ের প্রতি ঐ ভাব জন্মে না, তখন ঐ আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতির-7মুক্তছন্টেনে ন, অথবা যদি হয়, সে অধীনতা চিরস্থায়ী হইয়। থাকিবে কর্ণ" কোন সময়ে ব্ৰহ্মদেশে গিয়াছিলাম। সেখানে দেখিয়া স্বদেশীয় ভদ্রমহিলাগণও পদস্থ ইংরাজদিগের রক্ষিত স্বরূপ হইষা থাকিতে বোধ করে না। প্রভুত তাহারা তাদৃশ অবস্থাকে আপনাদিগের গৌরবস্ব মনে করে । ঐ দেশেই দেখিয়াছিলাম অতি ভদ্রবংশীয় স্ত্রী পুরুষ সকলে পেনাদিগের পুরোহিতবর্গ পরিবৃত হইয়া কোন উচ্চপদস্থ ইংরাজের সমীপে উপস্থত হইলেন এবং ভক্তিভাবে তাহী পদদ্বয়ে পুষ্প চন্দন দিয়া তাহার পূজা কেিলন। ঘখন ঐ ব্যাপার দর্শন করি, তখন মনে হইয়াছিল যে, o মধ্যে জাতিভেদ প্রথা প্রচলিত থাকায় কি সমূহ মঙ্গল হইতেছে! ঐ Y থাকাতে লোকে স্বজাতীয়দিগের মধ্যেই বড় লোক দেখিতে পায়, বিদেশীঈ"রাজপুরুষ কেই সৰ্ব্ব বিষয়ে সৰ্ব্বোপরি দেখে না এবং সেই জন্য উছাদিগের প্রতি অবখ ভক্তিও করে না। আমি ভাবিলাম, যে ব্ৰহ্মদেশীয়ের যে কাজ করিতে পারিল আমাদিগের অতি নীচ জাতীয় লোকেও তাহা করিতে ঘুণ বোধ স্কুরে । ভারতবর্ষীয় কোন লোক যদি নিতান্তই আত্মবিস্তৃত হয়েন, তবে ইংরাজ করম্পর্শ পূর্বক তাহার সমাদর না করিলে মনে মনে ক্ষুব্ধ হয়েন ; যদি নিতান্তই হীনচেতা হয়েন তবে ইংরাজের সহিত একত্রে থানা খাইতে ভাল ৰাসেন ; যদি একান্ত মুগ্ধ হইয়া থাকেন তবে ইংরাজ র্তাহার নাম ধরিয়া ভাকিলে বা তাহার নামটার সম্বোধন পূর্বক পত্রাদি লিখিলে আপনাকে গৌরবান্বিত মনে করেন ; যদি সৰ্ব্বতোভাবে পৈত্রিক গুণসমূহ পরিত্যাগ করিয়া থাকেন তবে ইংরাজের অনুরূপ চাল চলন অঙ্গ ভঙ্গী প্রভূতি করিয়া কৃতার্থক্ষষ্ঠ হয়েন : ভরতবাসী ইংরাজী পড়িয়া শুনিয়া যদি অত্যধিক নীচ হইলেন, তবে স্বজাতীয় ধৰ্ম্ম এবং নীতি এবং আচার অপেক্ষ ইংরাজের ধৰ্ম্ম
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।