দ্বিতীয় ভাগ । ఫి శి এবং নীতি এবং আচার প্রণালীকে শ্রেষ্ঠতর জ্ঞান করিলেন এবং ইংরাজের সমকক্ষ হইবার নিমিত্ত অহরহ চেষ্টা করিতে লাগিলেন। কিন্তু তিনি আপনার ভগিনী ও কম্ভাকে ইংরাজের রক্ষিতা করিয়া দিয়া এবং ইংরাজের পায়ে পুষ্প চন্দন দিয়া স্বয়ং চরিতার্থ হইতে পারেন না। যেখানে জাতিভেদ নাই এবং পরাধীনতা আছে , সেখানে পরাধীনতার অতি বিষময় ফলই ফলে, সেখানে আত্মগৌরব একবারেই বিলুপ্ত হইয়া যায়, মন ক্ষুদ্র হয় এবং প্রকৃত মনুষ্যত্ব জন্মিবার কোন পথই থাকে না । আমাদিগের দেশে ইংরাজ রাজপুরুষেরা দেবতা স্বরূপে সম্পূজিত হয়েন না । কিন্তু তাছারা পূজা পাইবার নিমিত্ত যেন বিলক্ষণ সচেষ্ট হইয়াছেন ; এবং তাহার ফললাভও কিছু কিছু করিতেছেন। আমার বেশ স্মরণ হইতেছে, বাঙ্গালার প্রথম চারিজন লেপ্টনেণ্ট গবর্ণর যখন দেশের বিভিন্ন ভাগ পরিদর্শনে বাহির হইতেন, তখন কোন আড়ম্বরই হইত না । হালিডে সাহেব নীলকরদিগের বাটীতে বাটতে থাইতেন, রাজা এবং জমিদারদিগের সহিত ছোট ছোট দরবারে দেখা করিতেন, মাজিষ্ট্রেট কলেক্টর, জজ প্রভৃতির আদালত দেখিতেন এবং কোন গোলযোগ না করিয়া একস্থান হইতে স্থানান্তরে যাইতেন। গ্ৰাণ্ট সাহেবের রীতিও প্রায় ঐরূপ ছিল, তবে তিনি নীলকর সাহেবদিগের বাটীতে গিয়া ভোজ খাইতেন iন এবং প্রজারা যে সকল দরখাস্ত দিয়া আপনাদের দুঃখ জানাইত তাহ মনোযোগ পূর্বক শুনিতেন । বীডন সাহেব বড় একটা ভ্রমণ করিতেন না, ধাহা একটু করিতেন তাহাতেও আড়ম্বর হইত না। গ্রে সাহেব কিছু কিছু বেড়াইতেন । স্বচক্ষে দেখিয়াছি তিনি স্বহস্তে ছাত ধরিয়া একটা বাজারের ভিতরে পাদচারে বেড়াইতেছেন এবং কোন কোন দ্রব্য কেমন কেমন দরে বিক্রীত হইতেছে তাহ জিজ্ঞাসা করিয়া জানিতেছেন। ' তাহার পরে কাম্বেল সাহেব আসিলেন এবং সমভিব্যাহারে সওয়ার যাইবে, যেখানে যাইবেন সেখানে বাজি পুড়িবে এবং আলোক দেওয়া হইবে এইরূপ আজ্ঞা প্রচার করিলেন। কমিশনর এবং মাজিষ্ট্রেটের একটু একটু মুচকি হাসিলেন, কিন্তু আজ্ঞাপালন করাইলেন । আর কি, লজ্জা ভাঙ্গিয় গেল! টেম্পল সাহেবের আমলে বাজি পোড়ান এবং আলোকদান বাড়িয়া উঠিল । তখন কলাগাছের সারি দিয়া আলোক দিবার জন্ত এবং বাশের গেট করিবার জন্য এত আড়ম্বর হইত যে কোন কোন গ্রাম একেবারে বঁাশ ও কদলীবৃক্ষ শূন্ত হইয়া পড়িত । - -
- Nひ