দ্বিতীয় ভাগ । ף לל মদ্যাদি পান করেন—এজন্ত অল্প আয়ের ও নিয়শ্রেণীর ইয়ুরেশীয়ের মধ্যে প্রকৃত প্রস্তাবেই লক্ষ্মীছাড়া দশা আছে। আমাদের কৃতবিদ্যেরা উহাদেরই অনুকরণ করিতে যাইতেছেন । “মধ্য শ্রেণীর ইংরাজের ইংলওঁীয় ব্যবহারের” অনুকরণ করিতে গেলে যে একেবারে আলস্ত বর্জন করিতে হয় । রাজভক্তি । *象 স্বহস্তঘটিত মূৰ্ত্তির প্রতি দেববুদ্ধি হইতে পারে। আমরা যাহাকে আপনাদিগের মনঃকল্পিত গুণ এবং শক্তি সমূহের আধার বলিয়া জ্ঞান করি, তাহার প্রতি অকৃত্রিম প্রীতি, ভক্তি এবং শ্রদ্ধ করা আমাদিগের পক্ষে কিছু মাত্র আশ্চর্য্যের বিষয় নহে। প্রত্যুত বিশেষ অনুধাবন করিয়া দেখিলেই বোধ হইবে যে, আমরা সৰ্ব্বস্থলেই আদৌ নিজ মানসস্তৃত গুণাবলী দ্বারা পদার্থ বিশেষকে বিভূষিত করিয়া লইয়া এবং তদনন্তর সেই অলঙ্কত পদার্থের প্রতি স্নেহ, প্রতি, ভক্তি, প্রভৃতি ভাবের আবির্ভাব করতঃ তত্ত্বৎ রসে একান্ত নিমগ্ন হইয়া থাকি । মাজভক্তি এইরূপ ভাব । সকলেই জানি যে রাজাও অন্তান্ত সামান্ত ব্যক্তির ন্যায় রোগশোকাদির বশীভূত, তিনি ভয়লোভাদিকে অতিক্রম করেন নাই, ভাবিয়া দেখিলে তাহার ধন, গৌরব, শক্তি, মৰ্য্যাদা কিছুই নাই—রাজার যাহা কিছু আছে সকলই তাহার প্রজাবর্গের দ্বারা প্রদত্ত—তিনি প্রজাবৃহের প্রতিভূ বই আর কিছুই নহেন । কিন্তু এ সমস্ত জানিয়াও আমরা রাজাকে সমস্ত শক্তির এবং গৌরবের আধার জ্ঞান করি । তিনি নরদেব—মনুষ্যের মধ্যে দেবতা—তিনি পূজ্যপাদ, তিনি নিষ্পাপ, তাহার দর্শনে পুণ্য, তাহার ম্পর্শে রোগক্ষয় হয় । অন্য কথায় কাজ কি ?—“সৰ্ব্বানাং লোকপালানাং বপুর্ধারয়তে নৃপঃ”-রাজ-শরীরে ইন্দ্র, যম, বরুণ, কুবেরাদি যাবতীয় লোকপাল সমস্ত বিদ্যমান—তিনি ভূস্বামিরূপে পিতৃতর্পণের অংশাধিকারী । ফলতঃ, রাজভক্তি যে আমাদিগের কল্পনামূলক ভাব তাহার কোনও ংশয় নাই । সুতরাং ব্যক্তিভেদে, জাতিভেদে এবং সমাজের অবস্থাভেদে যেমন কল্পনাশক্তির তারতম্য হয় সেইরূপ রাজভক্তিরও যে ইতর বিশেষ হইবে তাহা নিঃসন্দেহ। কল্পনাশক্তির প্রাবল্য থাকিলে উহা মনঃকল্পিত পদার্থের বাস্তবিক প্রকৃতি সৰ্ব্বতোভাবেই বিস্তৃত করিয়া দেয় এবং ঐ শক্তি দুৰ্ব্বল হইলে প্রকৃত বিনয় কখনই সম্পূর্ণ বিশ্বত হওয়া যায় না। -
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।