পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২০ বিবিধ প্রবন্ধ । মন্ত্রীদিগের সহায়তায় যাহা যাহা করেন, তাহ তখনই হউক, অথবা দুই দিন পরেই হউক সৰ্ব্ববাদিসন্মতরূপে দ্যায্য এবং প্রজাহিতকারীরূপে প্রতীয়মান হইলে ইংরাজীশিক্ষিত প্রজার মধ্যেও রাজার প্রতি একটা দেববৎ ভক্তি জন্মিবার কথা । “আমরা কি বুঝি—এত দূরদর্শন—এত সহানুভূতি মানবে কি সম্ভবে ?” এদেশীয় প্রজার মনে রাজার সম্বন্ধে এইরূপ ভাবের উদ্রেকই প্রার্থনীয়। নচেৎ প্রজার ধৰ্ম্মহানি হয় । ইংরাজীশিক্ষিত হইলেও তাহারা ত এদেশজাত বটেন সুতরাং রাজাকে সৰ্ব্বগুণময় মনে করিতে অস্তঃকরণের অন্তঃস্থলে তাহাদেরও অপ্রবৃত্তি নাই। এসকল গেল ইংরাজীশিক্ষিতদিগের কথা । এদেশীয় সাধারণ প্রজা সকল অবস্থাতেই রাজভক্ত আছে এবং নিজের গুণেই চিরকাল তাহ থাকিবে । জীবনরক্ষা ব! দৈনন্দিন পুস্তক । সেদিন আমাদিগের বহপূর্ব পরিচিত কোন আত্মীয়ের পৌত্রপধ্যায়ী একটা ব্যক্তির সহিত আমার দেখা হইয়াছিল । ইহার পিতামহের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার নিকট আমার পিতৃঠাকুর স্মৃতিশাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়াছিলেন। তিনি কখন কখন আমাদিগের বাটতে আসিতেন এবং আমার বয়স যখন আট দশ বৎসর তখন আমাকে লইয়া একটু আদর করিতেন এবং আমার অধ্যয়নাদি কিরূপ হইতেছে তাহ পরীক্ষা করিয়া দেখিতেন। পিতৃঠাকুরের ঐ ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়কে আমার বেশ স্মরণ অাছে, কিন্তু তাহার ভ্রাতৃপৌত্র এই আগস্তুককে আমি কখনই পুৰ্ব্বে দেখি নাই। ইনি আত্মপরিচয় প্রদান করিলেন। পরিচয় পাইবামাত্র পিতৃ ঠাকুরের ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়কে স্মরণ হইল, র্তাহার সম্বন্ধে পিতৃঠাকুর যেরূপ ব্যৰহার করিতেন তাহাও স্মরণ হইল এবং পিতৃ ঠাকুরের পাঠ্যাবস্থার যে সকল বিবরণ বালককালে শুনিয়াছিলাম তাহাও স্মরণ হইল । আমি আগস্থকের সহিত সেই সকল পুৰ্ব্বকথার আলোচনা করিতে লাগিলাম । ৫২।৫৩ বৎসর পূৰ্ব্বে যাহা যাহা গুনিয়াছিলাম তাহ যেন গত কল্য বা পরখ হইয়া গিয়াছে এইরূপ বোধ হইতে লাগিল । কাল যেন কিছুই চাপ দেয় নাই—সকলই সজীব এবং জাজ্বল্যমান রহিয়াছে। জীবনের পথে গমন করিতে করিতে যখনই পাছু দিকে চাহিয়া দেখি, প্রায়ই অতীতভাগ অধিকদূর পর্য্যন্ত দৃষ্ট হয় না—কিছু দূর মাত্র দেখা যায়। সেইজন্তই আপনাদের জীবিত কালট অতি সঙ্কীর্ণ বলিয়া বোধ হয়। কিন্তু যদি কোনও কারণে