দ্বিতীয় ভাগ । >文> অতীত কালভাগ অধিক দূর পর্যন্ত স্মৃতির চক্ষে খুলে, তবে আর আয়ুষ্কালকে তত অল্প বলিয়া বোধ হয় না এবং জীবনমুখভোগটা অতি গাঢ়তররূপেই হৃদয়ে প্রবেশলাভ করে । - বস্তুতঃ কালের পরিমাপক, ক্রিয়া ভিন্ন আর কিছুই নাই। যে কালের মধ্যে ক্রিয়ার আধিক্য তাঁহাই দীর্ঘকাল । যে কালের মধ্যে ক্রিয়ার অল্পত। তাহাই অল্পকাল । নিদ্রাতে স্বপ্ন দর্শন অধিক হইলে নিদ্রার কালটা দীর্ঘ বলিয়া বোধ হয়—নিদ্রা গাঢ় এবং স্বপ্নশূন্ত হইলে কালের অনুভব মাত্র থাকে না । এই জন্ত কোন কোন পণ্ডিতের মতে কাল ক্রিয়ার আধার মাত্র নহে, ক্রিয়াই কাল । এই ভাবিয়া আমি আত্মীয় স্বজনকে একখানি দৈনন্দিন পুস্তক রাখিবার নিমিত্ত পরামর্শ দিয়া থাকি । যিনি যিনি সেই পরামর্শাকুযায়ী কৰ্ম্ম করিয়াছেন তাহাদের আয়ুষ্কালও র্তাহীদের দীর্ঘকাল বলিয়া বোধ হইয়াছে—র্তাহীদের কাহার মুখ হইতে কখন পরমায়ুর অল্পতা নিবন্ধন কোন দুঃখের কথা শুনিতে পাই নাই । বাঙ্গালীর উদ্যম হীনতা । “বাণিজ্যে লক্ষ্মীর বাস তাহার অৰ্দ্ধেক চাষ” । এ দেশের লোকের সেই বাণিজ্য অথবা কৃষিকাৰ্য্য কিছুই উত্তমরূপে নিৰ্ব্বাহ করেন না বলিয়াই ইহঁারা নিধন হইয়া আছেন। যদি মনে করা যায়, কেনই ইহঁাদিগের ঐ সকল কাৰ্য্যে প্রবৃত্তি বা ক্ষমত হয় না, তাহার আর কোন উত্তরই ভাবিয়া স্থির করিতে পারা যায় না, কেবল এই মাত্র বলা যাইতে পারে যে, ইহার ক্ষীণপ্রকৃতি ও ভীরুস্বভাব এবং অত্যন্ত আলস্তপরায়ণ, অতএব ইহঁাদিগের আকাঙ্ক্ষা দুৰ্ব্বল, ইহার কোন নুতন কৰ্ম্মে ছাত দিতে পারেন না এবং পরিশ্রমকেই তদ্বার প্রতিবিধেয় সকল দুঃখের অপেক্ষা অধিকতর দুঃখ জ্ঞান করিয়া থাকেন। মহাভারতে একটা শ্লোক আছে তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে সমুদয় পৃথিবীতে যাবৎ রত্ন আছে, সমুদয় প্রাপ্য হইলেও দুরাকাজ ব্যক্তিদিগের মন পরিতৃপ্ত হয় না । পৃথিবী রত্নসম্পূর্ণ হিরণ্যং পশবঃ স্থিয়ঃ ! নালমেকসা তৎসৰ্ব্বং তস্মাতৃষ্ণাং পরিত্যজেৎ । আমি যখন ঐ শ্লোকটি শুনিলাম তখনই মনে মনে এই চিন্তা উপস্থিত হইল যে, এমন লোক কি কখন এই বাঙ্গালার মাটাতে জন্সিয়াছিল যে, পৃথিবীর
- ) So