পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विउँौञ्च ऊां★ीं । · & খৃষ্ট ধৰ্ম্মাবলম্বী পূৰ্ব্বতন পণ্ডিতেরা অনেকেই কহিয়া গিয়াছেন যে, পূৰ্ব্বকালে পরমেশ্বর স্বয়ং মনুষ্যদিগের কাৰ্য্যে হস্তার্পণ করিতেন। তখনকার লোকের সহিত র্তাহার কথোপকথন হইত এবং কখন মনুষ্যদিগকে উপদেশ প্রদান করিবার অভিপ্রায়ে তিনি আপন অনুচর দেবতাদিগকে এই মৰ্ত্ত্যলোকে প্রেরণ করিতেন । তাহারা বলেন যে, ঐ সকল সময়ে মনুষ্যেরা তাবৎ প্রয়োজনীয় বিদ্যাতেই উপদিষ্ট হয়েন । পরন্তু অনেকানেক খৃষ্ট ধৰ্ম্মাবলম্বী অাঁধুনিক বিদ্বান ব্যক্তিরা এক্ষণে কহিয়া থাকেন যে, জগদীশ্বর নরজাতিকে যেরূপ বুদ্ধিশক্তিসম্পন্ন করিয়াছেন, তদ্বারা মনুষ্যগণ সৰ্ব্বপ্রকার বিদ্যার উদ্ভাবনে সক্ষম । র্তাহারা বলেম যেমন পশ্বাদিকে তাহাদিগের কি প্রয়োজনীয় কিছুই শিখাইতে হয় না, তাহার। আপনাদিগের নৈসর্গিক জ্ঞানের প্রভাবেই সমুদায় জানিতে পারে, মনুষ্যদিগেরও সেইরূপ হয় । ফলতঃ আদিম অবস্থায় মকুয্যের নৈসর্গিক জ্ঞান সভ্যাবস্থা অপেক্ষা অনেক প্রবল থাকে । অতএব বিদ্যমাত্রকেই ঈশ্বরের উপদিষ্ট বলিতে গেলে অনেক গৌরব স্বীকার করিতে হয় । তাহারা ইহাও বলেন যে, পূৰ্ব্বতন কালের লোকেরা যে সকল দেবতাকে নরজাতির উপদেষ্ট বলিয়া বর্ণন করিয়াছেন, তাহারা বাস্তবিক কোন প্রকার অমীমুষশক্তিসম্পন্ন ছিলেন না। তাহার স্ব স্ব বুদ্ধিবলে কোন প্রকার অতি প্রধান প্রধাস কীৰ্ত্তি সংস্থাপন করিয়াছিলেন বলিয়াই অজ্ঞ লোক সকল কর্তৃক দেবতা বলিঙ্গা পূজিত হয়েন । - مسجسمیه متحده به جه সত্যকালের মনুষ্যের বিশাল শরীর । সৰ্ব্বদেশীয় লোকেরই এমত বিশ্বাস আছে যে, অক্তি পূৰ্ব্বকালে মনুষ্যগণ যেমন উদারপ্রকৃতি, অতীব বিক্রমশালী এবং দেবাবিষ্ট ছিলেন, তেমনি র্তাহাদিগের শরীরও অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত ছিল । আমাদিগের পুরাণে বর্ণিত যে, সত্যযুগে সাধারণ মনুষ্যশরীর শত হস্ত প্রমাণ দীর্ঘ ছিল । মুসলমানদিগের কোরাণে লিখিত আছে, প্রথমে আদমের শরীর পৃথিবীর এক প্রাস্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্য্যন্ত বিস্তৃত হইতে পারে এমত সৃষ্ট হইয়াছিল, পরে পাপসংস্পর্শে তদেহ খৰ্ব্ব হইয়া আধুনিক মরশরীরের সদৃশ হুইল । “আসিরীয় লোকসকল আপনাদিগের পূজ্যপাদ বিলস দেবের মূৰ্ত্তি ৪০ ফুট পরিমিত