বিবিধ প্রবন্ধ । . ولا করিয়াছিলেম। গ্ৰীকজাতীয় কবিগণ যে সকল অমুরের বর্ণন করিয়া গিয়াছেন, তাহার এক এক জন এক একটা পৰ্ব্বত হস্তে লইয়া সংগ্রাম করিত। উর্হাদিগের সর্বপ্রধাম কবি, “হোমার’ বহুস্থলে এমন্ত অভিপ্রায় প্রকাশ করেন যে, তাহার সময়ে লোক সকল পূৰ্ব্বাপেক্ষ অনেক হীনবীৰ্য্য এবং খৰ্ব্বাকৃতি হইয়াছিল । ইহুদিদিগের কোন কোন গ্রন্থে কথিত আছে যে, পূৰ্ব্বে মানবীগণের গর্ভে অতি প্রকাওীকার দেবপুত্র সকল জন্মগ্রহণ করিয়া এই মর্ত্যলোকে ধিচরণ করিত । অধুনাতন ভূতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতের অনেক বিষয়ে পৃথিবীর পূর্বাবস্থা নিরূপিত করিতে পারিয়াছেন। এক্ষণে র্তাহাদিগের সিদ্ধান্ত হইয়াছে যে, অতি পূৰ্ব্বকালে এই পৃথিবীতে মনুয্যের জীবনোপায় উদ্ভিদাদি কিছুই প্রস্থত হইত ন, এবং ভূগৰ্ভস্থ প্রচও অগ্নিতাপে পৃথিবীর উপরিভাগ পৰ্য্যন্তও দুঃসহরুপে উত্তাপিত ছিল । সুতরাং তৎকালে পৃথিৱী মনুষ্য বাসোপযুক্ত ছিল না । সেই সময়ে অতি বিশাল শরীর বহুবিধ প্রাণী ইহাতে মিবাস করিড । তাহারা অধিকাংশই বর্তমান কোন জাতীয় জীবের সদৃশ নহে। তাহাদিগের অনেকের সমুদয় কঙ্কাল, কাহার কাছার কতিপয় অস্থি, কতকগুলির শরীরের অন্তান্ত চিন্তু অনেক স্থলেই ভূগর্ভে দৃষ্ট হইয়াছে। কিন্তু উহাদিগের মধ্যে কোথাও মনুষ্য শরীরের কোন চিকুপ্রাপ্ত হওয়া যায় নাই। পৃথিবীর আভ্যন্তরে যে অবধি মনুষ্য দেহের চিকু পাওয়া গিয়াছে, সেইখাম হইতেই মনুষ্য শরীরের এক্ষণে যে পরিমাণ দৃষ্ট হইতেছে তাঁহাই দেখা গিয়াছে। অতএব অবশ্যই জিজ্ঞাস্য হইতে পারে যে, যদি পুৰ্ব্বকালে মনুষ্য শরীর এক্ষণকার অপেক্ষা সমধিক বৃহৎ ছিল এমত হয়, তবে সেই শরীরের কোন চিকুই পাওয়া যায় মা কেন ? যে সময়ে তাদৃশ মনুষ্যগণ পৃথিবীতে স্বাস করিতে পারিত তাহার পূর্বকালের জীৰদিগের চিছু সমূহ রহিয়াছে, তাহার পর সময়েরও সমুদয় চিকু রহিয়াছে, কেবল সেই সময়েরই কোন চিছু দৃষ্ট হয় না ইহার কারণ কি ? অতএব এক্ষণে অনেকেই কহিয়া থাকেন যে, পূৰ্ব্বতনকালে মনুষ্য শরীর যে অপেক্ষাকৃত বৃহৎ ছিল সে কথা প্রামাণিক মহে। তাহারা বলেন যে, অতি পূৰ্ব্বকালের কোন যথার্থ ইতিবৃত্তই মাই, অথচ সেই প্রাচীন বিবরণ অবগত হইবার নিমিত্ত মনুষ্য মাত্রেরই একান্ত ৰাসলা আছে। বিশেষতঃ পূৰ্ব্ব কালের কোন লোকদিগের মধ্যে ঐ বাসনা সমধিক প্রবল ছিল,
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।