পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృతి8 - বিবিধ প্রবন্ধ । শৃঙ্গ ক্ষুর পুচ্ছাদি হইতে যুদ্ধপরায়ণ বিবিধ ম্লেচ্ছজাতীয়ের স্বষ্টি করিলেন এবং তাহারা বিশ্বামিত্রকে পরাভূত করিয়া কামধেনুকে উদ্ধার করিয়া দিল । আমার মনে নিরীহ হিন্দু জাতিই বশিষ্ঠ, কামধেনু হিন্দুধৰ্ম্ম, বিশ্বামিত্র প্রবল প্রতাপ রাজধৰ্ম্ম, এবং কামধেনুর শরীর নিঃস্থত স্লেচ্ছগণ ব্রাহ্ম মতাবলম্বী আধুনিক যুবকবৃন্দ। ব্রাহ্মদিগের রূপ ধারণ করিয়াই সনাতন হিন্দুধৰ্ম্ম আপন প্রভাব প্রকাশ পূৰ্ব্বক খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মকে মুদূরপরাহত করিলেন। কামধেনুপ্রস্থত বিদ্বেষ বিবর্জিত ঐ ব্রাহ্মধৰ্ম্মের জয় হউক । এতক্ষণ মনের কথা বলিলাম। এক্ষণে একটী কাজের কথা বলিব । রাজনারায়ণ বাবু হিন্দুধৰ্ম্মশাস্ত্রের স্বরূপ প্রশংসাবাদে প্রবৃত্ত হইয়া তন্ত্র শাস্ত্রেরও সুখ্যাতি করিয়াছিলেন । তিনি ভালই করিয়াছিলেন । কিন্তু কয়েকজন নিতান্তু অল্পজ্ঞ আসার ব্যক্তির প্রলাপ বাক্যকে প্রামাণিক বাক্য মনে করিয়া ডাক্তার মরে মিচেল সাহেব প্রভৃতি পণ্ডিত ব্যক্তিরাও ঐ জন্ত রাজনারায়ণ বাবুর দোষ ধরিতেছেন । রাজনারায়ণ বাবু যে আত্মপক্ষ সমর্থনে অশক্ত তাহা নহে । তিনি স্বয়ংই ঐ সকল প্রতিবাদ খণ্ডনে সমর্থ হইলেন,সন্দেহ নাই। তথাপি আমি তন্ত্র শাস্ত্রের বাস্তবিক প্রকৃতি কিরূপ তাহা কিঞ্চিৎ বলিতে ইচ্ছা করি । রাজনারায়ণ মহারথীর অনুবৰ্ত্তী সামান্ত পদাতি হও য়াও গৌরবের বিষয় । ধৰ্ম্মপ্রণালী মাত্রেই ত্রিধ হইয়া থাকে। প্রথম আভ্যন্তরিক, অপর গার্হ, তৃতীয় সামাজিক । ইংরাজদিগের প্রণালী দেখ, তাহারা শয়নকালে এবং শয্যা হইতে উঠিবার সময়ে এক একবার ঈশ্বরোপাসনা করেন । ঐ সময়ে অপর কেহ তাহাদিগের নির্জন আভ্যন্তরিক উপাসনার সহযোগী হয়েন না । ঐ উপাসনা উপাস্ত এবং উপাসকের পরম্পর সাক্ষাৎসম্বন্ধ পরিচায়ক। র্তাহার ভোজন করিতে বসিবার পূৰ্ব্বক্ষণেও ঈশ্বরকে স্মরণ করেন। ঐ উপাসনায় তাহাদের পরিবারবর্গের সাহচর্য্য হয় । ইহা গার্হ। তাহারা গির্জা ঘরে গিয়৷ প্রতি রবিবারে উপাসনা করেন। এইটী সামাজিক । হিন্দু প্রণালীতেও উপাসনা ঐ প্রকারে ত্ৰিবিধ —যথা ইষ্টদেবতার পূজাদি। ইহা আভ্যন্তরিক । শালগ্রাম শিলা, বিগ্রহ এবং শিবাদির পূজা । ইহা গার্হ। দোল দুর্গোৎসবাদি উৎসর কার্য্য । ইহা সামাজিক । তন্ত্রশস্ত্রোক্ত পূজাবিধি ঐ প্রণালী ত্রিতয়ের এক ভাগ অর্থাৎ প্রথম ভাগকেই বিশিষ্টরূপে গ্রহণ করে। অপর দুই ভাগের প্রতি ইহার স্পষ্ট দৃষ্টি নাই। কেন নাই এবং ষাহ কিঞ্চিৎ আছে, তাহা সেইরূপ আছে কেন, তষিয়ে