পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় ভাগ । వీరి(t অধিক বলিব না। হিন্দুর অপর ধৰ্ম্মাবলম্বিদিগের অধীন হইলে পর তন্ত্রশাস্ত্র প্রকটিত হয়, এক্ষণে এই মাত্র বলিলেই পৰ্য্যাগু হইবে। সম্প্রতি বিচার করিয়া দেখ, আভ্যন্তরিক উপাসনার প্রকৃত মূল কি হইতে পারে ? আত্মার সম্যকৃ এবং সমগ্র উন্নতির সাধনই এই উপাসনার যথার্থ উদেশু । আত্মোন্নতি কিরূপে হইবে ? আত্মার সর্বপ্রধান শক্তির উত্তেজনা দ্বার। আত্মার সর্বপ্রধান শক্তি কি ? ইচ্ছাশক্তি ৷ ইচ্ছাশক্তি থাকাতেই মনুষ্যকে স্বাধীন জীব, সেই সৰ্ব্বনিয়ন্তার ছায়া স্বরূপ এবং সেই প্রোজ্জল পরমাত্মার স্ফুলিঙ্গ বলিয়৷ অম্ভব হয় । অতএব ইচ্ছাশক্তির সম্বৰ্দ্ধন তান্ত্রিক উপাসনার উদ্দেশু। ইচ্ছাশক্তির খৰ্ব্বতা কি কি হেতুতে জন্মে ? কতক শরীরের দোষে, কতক মনের দোষে। শরীরের দোষ নিবারণ তন্ত্রোক্ত যোগশাস্ত্রের উদ্দেশু, মনের দোষ সংশোধন তস্ত্রোক্ত সাধনাদি ব্যাপারের উদ্দেশু। প্রাণায়াম, ষোঢ়া, ষটুচক্রভেদ প্রভৃতি ক্রিয় কলাপ শরীর সংস্কারের উপায়। (১) শব, চিতা, পঞ্চমুণ্ডী, কমলাসন প্রভৃতি সাধন, ভয় বিশেষতঃ মৃত্যুভয় জয় করিবার উপায়, (২) লতা সাধনাদি ব্যাপার কামজয়ের উপায় (৩) কুটীচর ধৰ্ম্ম পালনাদি লোভ এবং ক্রোধ জয়েয় পন্থা (৪) মানসপুজ এবং ধ্যান ধারণাদি মনের একগ্রতা এবং অন্ত দৃষ্টির পরিবদ্ধক । তন্ত্রশস্ত্রের প্রকৃতি এই । যে শাস্ত্রের প্রকৃতি এরূপ সে শাস্ত্র যে মদ্যপান এবং পরস্ত্রীগমন শিক্ষা দিতে পারে না তাহ বলা বাহুল্য । তবে একটী কথা আছে, সেইটা ভাল করিয়া বুঝিয়া হিন্দুশাস্ত্রের বিচারে প্রবৃত্ত হইতে হয়। সে কথা এই— আমাদিগের শাস্ত্রকারগণের স্থির সিদ্ধান্ত এই যে, গুরূপদেশ নিতান্ত আবগুক । তাহারা সাধারণের বোধগম্য করিয়া ধৰ্ম্মশাস্ত্রের প্রণালী ব্যাখ্যা করিতেন না। দ্ব্যর্থ অথবা গুঢ়াৰ্থ কিম্বা বিশিষ্টার্থ প্রতিপাদক শব্দের ব্যবহার র্তাহার নিতান্ত আবশ্যক বোধ করিড়েন । র্তাহাদিগের ধৰ্ম্মশাস্ত্র ত কেবল কথার কথা ছিল না। তাহারা ধৰ্ম্মশাস্ত্রকে একট শিক্ষণীয় প্রকৃত বিদ্যা করিয়া তুলিয়া ছিলেন । এই জন্ত যেমন ঘড়ি গড়া, জুতা গড়া, ছুতারের কাজ, স্থপতির কাজ গুরূপদেশসাপেক্ষ, হিন্দুধৰ্ম্মশাস্ত্রজ্ঞানও তেমনি গুরূপদেশ সাপেক্ষ। (R) আমি পূৰ্ব্বপত্রে তন্ত্রশাস্ত্রের বাস্তবিক প্রকৃতি কিরূপ, তাহার স্থল স্থল বর্ণন করিয়াছি। সম্প্রতি তদ্বিষয়ে আরও কিছু বলিতে ইচ্ছা করি। তন্ত্রের