দ্বিতীয় ভাগ । * 8ව সুদূরদর্শী হইতেন, আর জাতীয়ভাব সংরক্ষণের প্রকৃত উপায় সকল বুঝিতেন, তাহা হইলে তিনি যে পথে পদার্পণ করিয়াছিলেন তাহা হইতে স্থলিতপদ হইতেন না । রামমোহন রায়ের প্রদর্শিত পথ ত্যাগ করিয়া নব্য ব্রাহ্মের হতবীৰ্য্য হইয়াছেন। র্তাহারা যাহাই করুন, ইংরাজী শিক্ষিত ভিন্ন অপর কোন লোকের উপর বড় কিছু করিতে পরিবেন না, অধিকন্তু ক্রমশঃ স্বজাতির সহিত সহানুভূতি শূন্ত হইয়া পড়িবেন। রাজা রামমোহম রায়ের পর শ্ৰীমৎ রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের আবির্ভাবই প্রধানতঃ উল্লেখ যোগ্য। ইনি অতি সরল ভাষায় হিন্দু মতবাদের শাস্ত্র সম্মত সামঞ্জস্ত করিয়া যে সকল উপদেশ দিয়াছেন “তাহার প্রকৃত অর্থ তাহার নিজের জীবনচরিত হইতে বুঝিয়া” যদি প্রকৃত তান্ত্রিক সাধনায় বাঙ্গালী ভক্তিপূৰ্ব্বক রত হয়, তাহ হইলে আবার সমাজ মধ্যে একাগ্রচিত্ত, উদ্যমশীল, নির্ভীক, কৰ্ম্মঠ ও ধাৰ্ম্মিক লোকের বৃদ্ধি অবশুই হইবে। রাজ রামমোহন রায় এবং তন্ত্র শাস্ত্র । (>) জীবনচরিত পাঠে যে অশেষ উপকার দশিতে পারে অনেক স্থলেই জীবনচরিত গ্রন্থগুলির অসম্পূর্ণতা দোষে সেই উপকারের ব্যাঘাত হয়। ধৰ্ম্মসংস্কারকদিগের চরিতাখ্যান এই কথার বিশেষ দৃষ্টান্ত স্থল। ঐ সকল চরিতাখ্যানে প্রায়ই কিছু না কিছু অলৌকিক অস্তৃত ভাবের সমাবেশ হইয়া থাকে। কোন বীজ হইতে কিরূপে কোন উচ্চ ভাব ঐ সংস্কারকদিগের মানসক্ষেত্রে প্রথমে অস্কুরিত হইয়াছিল তাহার অনুসন্ধানের চেষ্ট হয় না, এবং কি কি স্বযোগেই বা সেই ভাবের পরিবর্দ্ধন হইয়াছিল তাহারও কোন প্রকৃত বিবরণ জানিতে পারা যায় না। অমুক এত অল্প বয়সেই এই তথ্যটা অবগত হইয়াছিলেন এবং ঐ তথ্যের জ্ঞান সমস্ত অন্তরায় অতিক্রম করিয়া সেই ঈশ্বরাধিষ্ঠিত পুরুষকর্তৃক প্রচারিত হইয়া এক্ষণে জাতি সাধারণের গ্রাহ হইয়াছে, সকল ধৰ্ম্মসংস্কারকের জীবনচরিতই এই অদ্ভুত ভাবের ব্যঞ্জক। বঙ্গদেশের আধুনিক ধৰ্ম্মসংস্কারক রাজা রামমোহনের চরিতেও কতক পরিমাণে অদ্ভুত ভাব দেখিতে পাওয়া যায়। র্তাহার চরিতাখ্যায়ক বলেন, ."রামমোহন র্তাহার ষোড়শবর্ষ বয়সে একেশ্বর মতবাদ গ্রচার করিতে গিয়া
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।