দ্বিতীয় ভাগ । ఫి 8వ নিয়ত, নিৰ্ব্বিকার, সদাশয় হইয়া এই ধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিতে হয়। ব্রহ্মনিষ্ঠ ব্যক্তি মাৎসর্য্যহীন, দস্তরহিত, দয়ালু, বিশুদ্ধহদয়, মাতা পিতার প্রিয়কারী ও র্তাহীদের সেবনে তৎপর হইবেন । তিনি সৰ্ব্বদা ব্রহ্মপ্রতিপাদক বাক্যশ্রবণ করিবেন, ব্রহ্ম চিন্তা করিবেন ও সৰ্ব্বদা ব্রহ্মের অনুসন্ধান বা তত্ত্বজিজ্ঞাসা করিবেন। সৰ্ব্বদা সংযতচিত্ত ও দৃঢ়বুদ্ধি হইয়া “ব্রহ্ম সাক্ষাৎ” ইহা ভাবনা করিবেন, কখন মিথ্যা কহিবেন না, পরের অনিষ্ট করিবেন না, বা পরস্ত্রী গমন করিবেন না । এই সকল প্রমাণ প্রদর্শনের পরিশেষে হুইট কথা বক্তব্য । একটী কথা এই যে, রামমোহন রায় কোন নুতন ধৰ্ম্মের স্বষ্টি করেন নাই, করিতে চাহেন নাই । দ্বিতীয় কথা, তাহার প্রবর্তিত ব্রাহ্মধৰ্ম্ম তন্ত্রোক্ত ধৰ্ম্মেরই অস্তর্নিবিষ্ট । উহাকে একটী নুতন ধৰ্ম্ম বলিয়া অকারণে উহার প্রকৃত ভাবের অপহ্লব করায় দোষ বই গুণ হইতেছে না । “আমরা তন্ত্রোক্ত ব্ৰাহ্মপদ্ধতির অনুসরণ করি” ত্ৰাহ্মগণ একথা স্বীকার করেন না কেন ? তন্ত্রের ক্রটি না ক্রটি নয় ? তন্ত্রশাস্ত্রের শিক্ষা যথাযোগ্য গুরুর দ্বারা হইলে শরীরসাধন, বুদ্ধিবৃত্তির তেজস্বিত সম্পাদন এবং ধৰ্ম্ম প্রবৃত্তির অসীম বলবত্তা সাধন হয় । পক্ষ। স্তরে যথাযোগ্য গুরুর অভাবে তন্ত্রের শিক্ষায় বিবিধ প্রকার দোষের সংঘটন হইয়া থাকে । শরীর বিকৃত, বা পীড়াগ্রস্ত হয়, বুদ্ধি মাৰ্জ্জিত এবং পরিষ্কৃত না হইয়। অসম্ভব প্রত্যাশায় মুগ্ধ হইয়া বিকৃত হয় এবং ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তি দৃঢ়তর না হইয়া ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম বিচারে ব্যাঘাত জন্মে এবং কাৰ্য্যাকাৰ্য্য বিচার শক্তিও বিলুপ্ত হইয়া যায়। অনেকানেক তান্ত্রিককে এক প্রকার উন্মাদগ্ৰস্ত বলিলেও চলে । র্তাহার মুখে ভৈরবোহং’ শিবোহং বলেন, অভেদ বুদ্ধির শ্লোক আবৃত্তি করেন এৰং মদ্য পানাদি বিবিধ দোষে বিলিপ্ত হইয়া পিশাচের দ্যায় ব্যবহার করেন। তন্ত্রের তাৎপর্য্যজ্ঞান এবং তদনুযায়ী শিক্ষা ও অভ্যাস না হইবার এই সব ফল । কিন্তু তন্ত্রের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য সম্যক রূপে অবগত হইয়া তদনুযায়ী শিক্ষা এবং অভ্যাস করিতে প্রবৃত্ত হইলেও যেন একটা প্রধান বিষয়ে ক্রটি থাকিয়া যায় বলিয়া বোধ হইতে পারে । সহজেই মনে হইতে পারে,—“তন্ত্রশাস্ত্র ব্যক্তিগত উৎকর্ষলাভের পথ
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।