দ্বিতীয় ভাগ । እ» ® ¢ ংস্করণই আসন প্রকরণের উদেখা । সুতরাং তাহা উদ্ধতন মতুষা প্রকৃতি হইতে উদ্ভূত কোন জ্ঞানময় ব্যাপারের দ্বারা সংসাধিত হইতে পারে না । বাটীর বুনিয়াদ বা একতালার মেরামত উপরের দু তালার বা তে-তালার কোনরূপ মেরামতে নিৰ্বাহ হয় না। আসন সম্বন্ধে আর একটা নিয়ম আছে । সে নিয়ম এই যে, একই প্রকার আসনে চিরকাল ৮লে না। একটা আসন অভ্যস্ত হইয়া গেলে আর একটী করিতে হয় । এইরূপে ক্রমে ক্রমে সকল গুলি করিতে হয় । আসন প্রকরণে যে এ প্রকার নিয়মের প্রয়োজন, তাহার কারণ বুঝাইয়া বলিতে হইবে না । শরীরস্থ সকল পেশীরই দৃঢ়তা সাধন চাই। একপ্রকার আসনে কতকগুলি অঙ্গেরই পেশী দৃঢ় হইল, সুতরাং অপর পেশীর ব্যায়ামসাধনের নিমিত্ত আসনান্তর অবিশুক । আর একটা ব্যবস্থা আছে । ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন আসন করিতে হয়। ‘পদ্মাসন প্রাতে, ‘ময়ূরাসন গরুড়াসন সায়াহে, বৃক্ষাসন মহানিশায়। এরূপ ব্যবস্থার কারণ প্রধানতঃ এই বুঝা যায় যে, কোন আসন অর্থাৎ ব্যায়াম’ শিক্ষিত হইয়া গেলে তাহা একেবারে ছাড়িয়া দিলে চলে না—চিরকাল সকল প্রকার ব্যায়ামের অভ্যাস রাখিতে হয়। যেমন কুস্তিতে ওঠ বইস ‘ডন’ "মুগুরভাজা প্রভৃতি ব্যাপার ক্রমে ক্রমে একটা একটা করিয়া শিখা উচিত এবং সকল গুলিরই চর্চা রাখা আবশ্যক, ‘আসন’ কা েগুও তাহাই । কিন্তু 恶 যদি সকল প্রকার আসনেরই অভ্যাস রাখা উল্লিখিত নিয়মের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য । হয়, তবে দূরতর করিয়া তাহাদিগের সময় ভেদ করিবার প্রয়োজন কি ? উপযুপিরি প্রাতে সায়াকুে এবং মধ্যরাত্রিতে সকল প্রকার আসনই করিতে হইবে এই বিধি করিলেই ত হইত। এই কোটির সিদ্ধান্ত তেমন কঠিন ব্যাপার নয়। শিক্ষা গ্রহণ করাইতে হইলে অভ্যাস করাইতে হয়। অভ্যাসের নিমিত্ত্ব কালাতায় আবণ্ঠক । কোন অভ্যাসকে সুদৃঢ় করিয়া রাখিতে হইলে তাহার সত্বর পরিবর্তনে অনেক প্রকার দোষ জন্মিয়া যায় ; ( 8 ) মুদ্র । যে মূল কারণ হইতে জীবদেহের কোন বিশেষ সৌষ্ঠব গুন্মে সেই সৌষ্ঠবের সম্বন্ধন এবং কাৰ্য্যকারিতার অভ্যাসে সেই মূল কারণেরও প্রাবল্য দশে।
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।