পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় ভাগ । እ»¢ጫ বাহপূজার অঙ্গীভূত বলিয়া নির্দিষ্ট আছে, তাহ নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর অঙ্গভঙ্গীমাত্র বলিয়া বোধ হইবে না। প্রত্যুত বাহপূজার মুদ্রা প্রয়োগের অবত প্রয়োজনীয়তাই সমাক্ উপলব্ধ হইবে । মুদ্রা অনেক প্রকার। সে সকলের নাম প্রকৃতি এবং প্রয়োগের ব্যবস্থা তন্ত্রশাস্ত্রে দ্রষ্টব্য এবং গুরুমুখে শ্রোতব্য । এখানে এই পৰ্য্যন্ত বলিলেই পর্যাপ্ত হইবে যে, প্রচলিত ‘মুদ্রা গুলির অধিকাংশই অঙ্গুষ্ঠ এবং অঙ্গুলিদিগের বিশেষ বিশেষ বিদ্যাস ; এবং অপ্রচলিত অনেকগুলি যাহাতে অপরাপর অঙ্গের বিভিন্নরূপ বিদ্যাসের প্রয়োজন হয় সেগুলি ‘আসন প্রকরণের অন্তভুত । আর একটা কথা বলিলেই এই প্রকরণের শেষ হয়। মুদ্র প্রয়োগের অভ্যাস দৃঢ় হইলে পীড়া অল্প হয়, প্রায়ই হয় না এবং যদি হয় তাহার উপশম অনায়াসসাধ্য হইয়া উঠে । তন্ত্রশস্ত্রের এই কথায় অবিশ্বাস করিবার কোন প্রকৃত যুক্তি দেখা যায় না। প্রত্যুত, শুনা যাইতেছে আজি কালি ইউরোপখণ্ডের মধ্যেও এইরূপ একটা মতবাদ প্রকাশোন্মুখ হইয়াছে, কোন কোন ইউরোপীয় চিকিৎসক আলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, হাইড়ে প্যাথি প্রভৃতি সকল প্রকার প্যাথির অপেক্ষ এই ব্যবস্থাই উৎকৃষ্টতর বলিয়া ব্যাখ্যা করিতেছেন । তাহারা বলেন রোগ বিশেষে শরীরের বিশেষরূপ সংস্থান এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বিশেষরূপ সঞ্চালন করিলে রোগের আশু প্রতীকাল্প হইয়া থাকে, ঔষধাদি সেবনের প্রয়োজন হয় না । তন্ত্রশাস্ত্র ও সাধকদিগের পক্ষে অবিকল তাহাই বলিয়াছেন এবং যাহারা আসন মুদ্রাদি সাধন করে না কেবল তাহাদিগেরই নিমিত্ত ঔষধ সেবনের প্রয়োজনীয়তা দেখাইয়াছেন। ( t ) হঠযোগ । যোগ বলিলে একটা অতি উচ্চ ভাবই বুঝায়,—সৰ্ব্বময় ঈশ্বরের সহিত ক্ষেত্ৰজ্ঞ জীবাত্মার সন্মিলনসাধন বুঝায়। কিন্তু এই বাহপূজা প্রকরণে সে ‘সমাধিযোগের কোন কথা বলা হইতেছে না। সে যোগের অনেক পূৰ্ব্ববর্তী এবং তাহা হইতে বহুদূরবর্তী যে শরীরসাধন ব্যাপারকে কোন কোন স্থলে ‘যোগ’ বলিয়া উল্লেখ করা হইয়া থাকে, সেই ‘হঠযোগের কথাই এই প্রবন্ধের উদ্দেশু । কিন্তু তাহাও যথেষ্ট সংযম ও মনোযোগ ও যত্নসাপেক্ষ। হঠযোগ’