>ぐうe বিবিধ প্রবন্ধ । প্রস্থত সে তন্ত্রশাস্ত্র কেমন উন্নতিশীল পদার্থ। ( છ ) পশ্বাদি সাধন । অনেকানেক পশুর শরীরে এমন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আছে, যাহার যৎসামান্ত চিকু মাত্র নর শরীরে দৃষ্ট হয় । এরূপ হুইবার কারণ কি ? ইউরোপীয় বিজ্ঞানবিদেরা বলেন যে, অবস্থাভেদে যে জীবের যে অঙ্গের ব্যবহার অধিক হয়, সেই অঙ্গ সবল হইয়া থাকে —আর ষৈ অঙ্গের ব্যবহার অল্প হয়, সে অঙ্গ ক্রমশঃ দুৰ্ব্বল হইয়া পড়ে। যাহার ব্যবহার অধিক, তাহার সম্বৰ্দ্ধন এবং পোষণ, যাকার ব্যবহার অল্প, তাহার দৌৰ্ব্বলা এবং ক্ষয় ইহাই নৈসর্গিক নিয়ম৷ এই নিয়ম জানিয়া মানুষের কৰ্ত্তব্য কি ? কোন “গুণই” ত বিনষ্ট হইতে দে গুয়া উচিত নয় । সুতরাং সকল অঙ্গ প্রভাঙ্গের যথোচিত সঞ্চালন দ্বারা তাহাদিগের সকলকেই জীবৎ বলবান এবং কায্যক্ষম রাখ। মাছুষের কৰ্ত্তব্য । তাহা হইলেই সকল জীবদেহের গুণ মনুষ্যদেহে আবিভূতি করিবার চেষ্টা করা উচিত । অর্থাৎ মানুষের শরীর এমন হইবে যে, হস্তীর বা গণ্ডারের দেহের স্তায় ইহা শীত বাত তপনক্লেশসহিষ্ণু হইবে, বানরের ন্যায় ইহা দীর্ঘ লম্ফ প্রদান ও স্বল্পাবলম্বনে অবস্থান করিতে পারিবে ভেকের দ্যায় ইহা পুতগতিসমর্থ হইবে, পক্ষীর স্তায় আকাশপথে উডচীন হইতে পরিবে, মৎস্যের ন্যায় জলমধ্যে বিচরণ করিবে—ইত্যাদি ইত্যাদি। ইউরোপীয় বিজ্ঞানবিদেরা বলেন যে, মানুষের ঐরূপ ক্ষমতা আর তাহার শারীরিক কোন পরিবৰ্ত্তের দ্বারা সম্পন্ন হইতে পারে না । মানুষ ক্রমে ক্রমে বুদ্ধিজীবী হইয়াছে। মানুষের এখন যাহা কিছু করিবার ইচ্ছা হয়, তাহা বুদ্ধিবল প্রয়োগের দ্বারা সম্পন্ন হইয়া থাকে এবং তাঁহাই হইবে । মানুষ উড়িবে, কিন্তু বেলুন যন্ত্রের যোগে, নিজ শরীর হইতে পাখা বাহির করিয়া নয় ; মানুষ জলতলে বিচরণ করিবে, কিন্তু ডাইবিং বেলের সহায়তায়, আপনার দেহভাগ হইতে স্বতন্ত্র কানক বাহির করিয়া নয়। ইউরোপীয় বিজ্ঞানের কথাই যে সফল হইতেছে, তদ্বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু তস্থি ক ‘হঠযোগ’ শরীরকোষ হইতেই ঐ সকল অঙ্গের স্বষ্টি বা তাদৃশ অঙ্গের কার্যক্ষম অন্তবিধ কোন গুণ জন্মাইতে চায়। এই বিষয়ে হঠযোগের বিচারপ্রণালী কিরূপ, তাহা একটা দৃষ্টান্ত দ্বারা স্পষ্ট করা যাইতেছে। বিগুলি বাস্ত্ৰাদি রাত্রিকালে যেমন পরিষ্কার দেখিতে
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।