দ্বিতীয় ভাগ । >W > পায় -মানুষ তেমন পায় না। হঠযোগ বলে মানুষ সাধন করিলে, অর্থাৎ যথোচিত চেষ্টা করিলে ঐ শ্বাপদদিগের স্তায় রাত্রিদৃষ্টি সম্পন্ন হইতে পারে । এ কথা যে অমূলক নয়, তাহ অনেকেই বলিতে পারেন। চৌকীদার প্রভৃতি যে সকল মানুষ রাত্রিতে অধিক চলা ফেরা করে, তাহারা অষ্ঠের অপেক্ষা রাত্রিতে অধিক দেখিতে পায় । চক্ষুতে একটা গুণের আধিক্য হয় । উহাদিগের কণীনিকার দ্বার সমধিক পরিমাণে খুলে—সুতরাং অধিক আলোক গ্রহণ করিতে পারায় অন্ধকারেও স্পষ্ট দর্শন জন্মে। হঠযোগ বলে দ্রব্য গুণে ও ঐরুপ হইতে পারে—কিন্তু দ্রব্য গুণের সাহায্য গ্রহণ অপেক্ষ সাধনের দ্বারা কোন কার্য্যে সিদ্ধ হওয়াই ভাল । বেলুনবোগে উডচীন হওয়া অপেক্ষ থেচরীমুদ্রার প্রয়োগ সহস্র গুণে উৎকৃষ্ট, ডাইবিং বেলের যোগে জলতলে বিচরণ করা অপেক্ষ কুম্ভকের সাহায্যে জলস্তম্ভ করা শ্রেয়ঃ । এখন কথা এই—বেলুন, ডাইবিং বেল প্রভৃতি যন্ত্র প্রস্তুত হইতেছে এবং তাহাদিগের দ্বারা মানুষের প্রয়োজন সাধনও হইতেছে । কিন্তু থেচরী মুদ্রা এবং জলস্তম্ভন ব্যাপার ত কখন দেখা যায় নাই— কেবল কথাতেই গুন। হইয়াছে। কাহার কাহার বিচারে এই কথাতেই চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হইয়া যায়— আর দ্বিরুক্তির অবসর থাকে না। কিন্তু একটু ভাবিয়া দেখিলেই ঐ কথাতেই চুড়ান্ত নিম্পত্তি হইতে পারে না । আরও অনেকগুলি কথ। বাকী থাকে । প্রথম কথা এই—পুথির লেখা যে মিথ্যা হইবেই হইবে, ইহা কি স্থির সিদ্ধান্ত হইয়া গিয়াছে ? দ্বিতীয় কথা এই যে, খেচরী মুদ্র এবং কুন্তকের অনুষ্ঠান করিতে করিতে আকাশ গমন এবং জলতলে বিচরণ হউক বা নাই হউক, শরীরের অন্ত কোন বিশেষ উপকার দশিতে পারে না কি ? অার তৃতীয় কথা এই, হঠযোগের অনুষ্ঠান দ্বারা যাহারা শরীরসাধন করিতে প্রবৃত্ত হয়েন, যন্ত্রাদি স্থষ্টি করিবার নিমিত্ত বুদ্ধিশক্তির প্রয়োগ করিতে কি কেহ র্তাহাদিগকে নিবারণ করিয়া রাখে ? যদি তাহারাও অন্তান্ত বিজ্ঞানবিৎদিগের দ্যায় অবাধে যন্ত্রাদি নিৰ্ম্মাণ বা শক্তির প্রয়োগ করিতে পারেন এমন হয় এবং হঠযোগের অনুষ্ঠানে উত্তমরূপ শরীরসাধন হইতে পারে নিশ্চিত হয়, তবে হঠযোগও কাহার অগ্রাহ পদার্থ না হইয়ু সকলেরই বিশেষ সমাদরেরই বস্তু হইল। হঠযোগের পুস্তকেক্তি ফল সমস্ত যদিই অত্যুক্তি দূষিত হইয়া থাকে, তথাপি শরীরসাধনে উহার বিশিষ্ট উপকারিতা ত থাকিতে পারে। Υ গাছের ডালে প৷ আটকাইয়া মাথা নীচে করিয়া বাহুড়ের মত ঝুলিতে a >
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।