পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दिउँौशू उlन्ने । 恕 এবং দ্বীপরে সহস্র বর্ষ পরিমিত ছিল । তখন কেহ কেহ নয় শতাধিক বৎসর জীবিত থাকিতেন। খৃষ্টান এবং মুসলমান উভয়েই ইহুদীদিগের মূলগ্রন্থ হইতে স্ব স্ব ধৰ্ম্মপুস্তক সংগ্ৰহ করিয়াছেন। সুতরাং অনেক স্থলে ঐ দুই ধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের যে একবাক্যতা হইবে তাহার সন্দেহ কি ?-- খৃষ্টধৰ্ম্মাবলম্বী পণ্ডিতগণ অনেকে কহিয়া থাকেন যে, সমুদয় মানব জাতি এক আদিম দম্পতী চইতে সমুদ্ভূত হইয়াছেন; সুতরাং লোকসংখ্যা বুদ্ধি করিবার অভিপ্রায়ে জগৎকৰ্ত্তা যে, সেই পূৰ্ব্বকালের মনুষ্যদিগকে সুদীর্ঘ আয়ুষ্মান ফরিবেন, ইহা যুক্তিসিদ্ধ বোধ হয়। মনুষ্যদিগের বর্ণভেদের প্রাকৃতিক ব্যবস্থা । বিভিন্নবর্ণ, বিভিন্নাকার, বিভিন্নাচার এবং বিভিন্নভাষী কতক গুলি ব্যক্তিকে একত্র অবস্থিত দেপিলে অবশ্যই জানিতে ইচ্ছা হয় যে, এইরূপ গ্রভেদ ঘটিবার হেতু কি ? পণ্ডিতেরা অদ্যাপি এই প্রশ্নের সর্ববাদিসম্মত উত্তর প্রদানে সমর্থ হয়েন নাই। কিন্তু হেতুনির্দেশ করিতে না পারুল, অধুনাতন প্রকৃতি-তত্ত্বানুসন্ধায়ী মহোদয়েরা এই সকল ভেদের প্রাকৃতিক ব্যবস্থাগুলি অতি স্পষ্টরূপে প্রকাশিত করিয়াছেন। র্তাহার বলেন, মনুষ্য জাতি পাচ প্রধান বর্ণে বিভক্ত। তন্মধ্যে একটর নাম “ককেসীয়” । এই ককেসীয় বর্ণের লোকদিগের বর্ণ গেীর মস্তক গোল, ললাট প্রশস্ত, নাসিক দীর্ঘ ও উন্নত, এবং মুখ কোণ * সুবিস্তৃত । ইহারা বুদ্ধিবলে এবং ধৰ্ম্মজ্ঞানে অপর সমুদয় বর্ণের মনুষ্য অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ হয়। উত্তরে ‘স্কটুলগু” এবং দক্ষিপে ভারতবর্ষ, এই বিস্তীর্ণ ভূভাগের অন্তর্গত যাবৎদেশ, প্রায় সকলই এক্ষণে ককেসীয় লোকের অাবাস হইয়া জাছে । * দ্বিতীয় বর্ণের নাম “মোগল” । ইহারা পীতবর্ণ, খৰ্ব্বনাস ও উন্নতগগু। ইহুদিগের মস্তক ঠিক গোল নহে, উভয় পাশ্বে কিঞ্চিৎ চাপ এবং মুখকোণ

  • ললাটের উন্নত ভাগ হইতে উপরিস্থিত দন্তপংক্তি পৰ্যন্ত একটা সরল রেখা কল্পনা কর, আর সেই স্থান হইতে কর্ণের মূল পধ্যস্ত আর একটা রেখা কল্পনা কর। উক্ত যেখাদ্বয়ের সম্পাতে যে কোণ জন্মে তাহারই নাম মুখ-কোেণ ।