> と、 বিবিধ প্রবন্ধ । পার, পদ্মাপনে বসিয়া বেঙ্গের মত লাফাইয়া লাফাইয়া যাইতে পারা— জিহবাকে গো জিহবার স্থায় দীর্ঘ করিয়া তদ্বারা দাড়ি ছুইতে পারা—শুগালের স্থায় অন্ধকার রাত্রিতেও স্বম্পষ্ট দর্শনশক্তি লাভ করা ইত্যাদি ইত্যাদি বহুপ্রকার পশুসাধন আছে। এগুলিকে পশুসাধন বলিতে ইচ্ছা ন হয় বলিয়া কাজ নাই । ব্যায়ামচৰ্চা এবং ইন্দ্রিয়সাধন বল । কিন্তু বস্তু একই হইবে, পৃথক হইবে না। ( 3 ) - জপপ্রণালী । মনোবৃত্তি নিচয়ের শক্তিসম্বৰ্দ্ধনের নিমিত্ত যে যে ক্রিয়ার অনুষ্ঠান আবশুক সে সমুদয় সাধনপ্রকরণের অন্তভুত। সাধনের দুই অঙ্গ। এক, যাহাতে বুদ্ধিবৃত্তির পরিচালনা হয় ; অপর, যাহাতে ধৰ্ম্ম প্রবৃত্তির তেজস্বিতা সম্পাদিত হয়। জপপ্রণালী প্রথমোক্ত অঙ্গের মুখভাগ। ইহা বাহপূজা এবং সাধনের মধ্যবৰ্ত্তী ব্যাপার। পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে যে, জপ কর ধরিয়া করিতে হয়, শরীর ঋজু এবং উন্নত ভাবে রাখিয়া করিতে হয়, নাসিকার অগ্রভাগে দৃষ্টি স্থির রাখিয়া করিতে হয়, এবং অভীষ্ট দেবতার মূৰ্ত্তি মানসচক্ষে দেখিতে দেখিতে করিতে হয়। কর ধরিয়া এবং শরীর ঋজু এবং উন্নত ভাবে রাখিয়া কেন জপ করিতে হয়, তাহাও পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে। নাসিকার অগ্রভাগে দৃষ্টি স্থির রাখিবার কারণও সহজে বুঝা যাইতে পারে। দৃষ্টি ঐরূপ করিতে গেলেই চক্ষুর এমত অবস্থান হয় যাহাতে চক্ষুগোলক পরম্পর নিকটবৰ্ত্তী হইয়৷ আইসে। চক্ষুগোলকদ্বয়ের নিকটাবস্থান মনের একাগ্রতার এবং বুদ্ধির প্রবেশচেষ্টার বিশেষ ব্যঞ্জক। সুতরাং অক্ষিগোলকদ্বয়ের নিকটাবস্থানের অভ্যাসে মনের একাগ্রত এবং বুদ্ধির প্রবেশ শক্তির বৃদ্ধি হইয়া উঠে। অতএব ইহাও এক প্রকার মুদ্রা এবং বাহ পূজার অঙ্গ । কিন্তু, মনে মনে ইষ্ট দেবতার মূৰ্ত্তি স্থির ভাবে রাখিয়া ওষ্ঠে জপ কর, করে সেই জপের সংখ্যা নির্ণয় করা, নাসার অগ্রভাগে চক্ষুর দৃষ্টি স্থির রাখা এবং শরীর উন্নত এবং ঋজুভাবে রক্ষা করা, এই সকলগুলি কাজ এক সময়ে করিবার আদেশ আছে। এরূপ আদেশে কি বুঝা যায় ? এই বুঝা যায় যে, মনুষ্য যে যে বিশিষ্ট শরীর লক্ষণে বিভূষিত শরীরের সেই সমস্ত লক্ষণ রক্ষা কবির জপের দ্বারা কাল এবং সংখ্যার জ্ঞান পরিস্ফুট করত ধ্যানের দ্বারা
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।