ՖԳ օ • বিবিধ প্রবন্ধ । বিধি নাই। তবে যদি কেহ স্বেচ্ছাতঃ পরিব্রাজক হষ্টতে চাহেন, তাহাকে কি কি অনুষ্ঠান করিতে হইবে তাহার বিধান আছে । পিতা, মাতা, ভাৰ্য্য, শিশুসন্তান অথবা অন্ত কোন অবগুপোন্য বিদ্যমান থাকিলে কেছ পরিব্রাজক হইতে পারেন না। র্যাহার ঐ সকল নাই তিনি স্বজন এবং স্বগ্রামনিবাসীদিগের অনুমতি গ্রহণপূর্বক আপন গৃহ পরিত্যাগ করিয়া যথা ইচ্ছ। যাইতে পারেন। .তাহাকে সন্ন্যাসধৰ্ম্মাবলম্বী কোন শাস্ত্রজ্ঞ গুরুর নিকটে গিয়া আপন ইচ্ছা প্রকাশ করিতে হয়। শ্রাদ্ধবিশেষ দ্বারা পিতৃঋণ, দেবখণ এবং ঋষিঋণ পরিশোধিত করিতে হয়, হোম করিয়া শিখা এবং যজ্ঞোপবীত অগ্নিতে আহুতি প্রদান করিতে হয় এবং পরিশেষে পিতৃবর্গের সহিত আপনারও পিণ্ডদান গুরুচরণে প্রণত হইয়া করিতে হয়। * গুরু কি করিবেন তাহ নিম্নলিখিত শ্লোকে ব্যক্ত হইবে ~~ গুরুরুত্থাপ্য তং শিষ্যং দক্ষকর্ণে বদেদিমং তত্ত্বমসি মহাপ্রাজ্ঞ হংসঃ সোহং বিভাবয় । আত্মস্বরূপং তং মত্ব প্রণমেচ্ছিরসা গুরুং নমস্তুভ্যং নমোমহং তুভ্যং মহং নমোনমঃ ত্বমেব তৎ তত্ত্বমেব বিশ্বরূপ নমোস্তুতে ॥ অর্থাৎ গুরু দণ্ডবৎ প্রণত শিষ্যকে উত্তোলন করিয়া তাহার দক্ষিণ কর্ণে এই কথা বলিয়া দিবেন—“হে মহাপ্রাজ্ঞ, তুমি নিজেকে ‘আমিই সেই মনে করিয়া পরব্রহ্মের সহিত অভেদ চিন্তা কর।” শিষ্য তখন গুরুকে আত্মস্বরূপ মনে করিয়া অবনতশিরে এই বলিয় প্রণাম করিবেন—“আপনাকে প্রণাম করি, অামাকে প্রণাম করি, আপনাকে ও আমাকে উভয়কেই প্রণাম করি, আপনিই “সেই” সেই, “আপনিই”, বিশ্বরূপ আপনাকে প্রণাম।”
- এইরূপ শিক্ষার শরীর ও মন দৃঢ় ও সংযত হইলে, ইচ্ছাশক্তি অতীব তেজস্বিনী হইলে—নিজের পিণ্ডদান করিয়া—প্রকৃতই ধীর গম্ভীর ভাবে জীবন উৎসর্গ পূর্বক গুরুর জাজ্ঞায় যে ব্যক্তি – জুধু মুখে নয় সমস্ত প্রাণের বলের সহিত "শরীরং বাণভয়েয়ং কার্য্যংবা সাধয়েরং” বাক্য উচ্চারণ করিয়া কোন সৎকার্য্যে লোকহিত জন্ত অগ্রসর হয় তাহার অসাধ্য কিছু আছে কি ? ঐরাপ কয়েক শত লোক যে সমাজে প্রস্তুত হয় সেই সমাজই অক্লেশে মহামহিমাম্বিত হইয় পড়ে ।