Y ዓSይ বিবিধ প্রবন্ধ । “একেবারে” প্রবৃত্তির নিরোধ প্রাচীন বৈদিক শাস্ত্রেরও উদ্দেশু ছিল না । “সোঁত্রাসণ্যাং সুরাম্পিবেং” এই বিধি, ‘যঞ্জার্থে পশবঃ স্বপ্তাঃ” এই প্রামাণিক বাক্য এবং ঋতৌভাৰ্য্যামুপেয়াৎ এই সকল অনুজ্ঞা বৈদিকশাস্ত্র সম্মত সুতরাং একেবারে প্রবৃত্তির নিরোধ বৈদিক কালের ব্যবস্থা নয় । অনুষ্ঠান বিশেষ সহকারে, চিত্তের সংযম সহকারে, মনের বিকৃতি নিরীকরণ সহকারে দেশ কাল পাত্রের ষথাযথ বিচার সহকারে জীবের স্বাভাবিক প্রবৃত্তির অনুযায়ী আচরণে বহুল শুভ ফল সমাহিত হয় ইহাঙ্গ মকুবচনের প্রকৃত তাৎপর্য্য, তন্ত্রের ব্যবস্থা ও তাই । অগ্লুিস্তেজ বলবুদ্ধি বিদ্যfর সম্বৰ্দ্ধনকর পঞ্চ-মকারের আকুষ্ঠান দুষ্য নহে। পুজাবিশেষ, অনুষ্ঠানদিবিশেষ, ও ভাবনাদিবিশেষ সহকারে পঞ্চ-মকারের প্রয়োগে উপকার আছে । কিন্তু সেই উপকার লাভ করিতে হইলে সম্পূর্ণরূপে “বিজিতেন্দ্ৰিয়” কুলাচারী হইতে হয় । অসংযত অনধিকারীর উচ্ছ ভাল ব্যবহারেই তন্ত্র শাস্ত্রের নিনা হইয়াছে। দেবমূৰ্ত্তি । তন্ত্রশস্ত্রানুসারে যে সকল কার্য্যের অনুষ্ঠান করিতে হয় অতি “স্থল স্থল” রূপে তৎসমুদয়ের নাম, প্রকার এবং তাৎপৰ্য্য বলা হইয়াছে। এক্ষণে তন্ত্রবর্ণিত দেবমূৰ্ত্তিগুলির এবং তন্ত্রোক্ত মন্ত্রগুলির প্রকৃতি এবং উদ্দেশ্য অতি সংক্ষেপে প্রকাশিত করিবার নিমিত্ত কিঞ্চিৎ যত্ন করা আবশ্যক । কাহার কাহার বিবেচনা এরূপ যে, তাৎপর্যাপ্রকাশে শাস্ত্রের প্রতি লোকের ভক্তি श्रृं!श्न, আবার কেহ কেহ মনে করেন যে, তাৎপৰ্য্য বুঝিতে না পারিলে শাস্ত্রের প্রতি প্রকৃত ভক্তির উদয় হইতেই পারে না । ইউরোপ খণ্ডের এক সম্প্রদায় খুষ্ঠানের স্পষ্টই বলেন যে, প্রচলিত দেশভাবা গুলিতে বাইবেল গ্রন্থের অনুবাদ হওয়ায় ধৰ্ম্মের প্রতি লোকের শ্রদ্ধা কমিয়া গিয়াছে এবং ধৰ্ম্মবিষয়ে বিচার এলক্তিই বাড়িয়াছে । অপর সম্প্রদায়ের লোকের বলেন যে, বাইবেলের অনুবাদ হইয়াছে বলিয়াই ইউরোপ খণ্ডের ধম্মান্ধত। দূর হইয়াছে । আমার পূজ্যপাদ পিতৃদেব কোন সময়ে তন্ত্রশাস্ত্রের একট দুরূহ ভাগ বাঙ্গালায় অনুবাদিত করিতেছিলেন, ইহা দেখিয়া তাহার একজন সতীর্থ তাহাকে আগ্রহাতিশয় সঙ্গকারে ঐ কাৰ্য্য হইতে নিবৃত্ত করিয়া দিলেন । আমারও একজন পরমাত্মীয় ভূয়োভূয়: বলিতেছেন যে, দেবমুৰ্ত্তি সকলের তাৎপৰ্য্য প্রকাশে কোন উপকারের সম্ভাবনা নাই, প্রত্যুত অপকারেরই সম্ভাবনা আছে । কিন্তু
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।