পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় ভাগ । శ్రీ দ্রব্যবাচক শব্দ উচ্চারণ বিশেষে কখন ক্রিয়াবাচক, এবং কখন বা গুণবাচক হইয়া থাকে। এই ভাষাকে তুরাণী ভাষারই আদিম অবস্থা বলিলে বলা যাইতে পারে । আর এক প্রকার মূল ভাষার নাম ‘আফ্ৰিক’। এই জাতীয় ভাষাসমূহ আফ্রিকা খণ্ডে প্রচলিত । ইহার প্রকৃতি সেমেটিক এবং আর্য্য উভয় হইতে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ ভিন্ন । কিন্তু কোন কোন অংশে উক্ত উভয় ভাষারই সহিত ইহার বিলক্ষণ সাদৃশু আছে। অতএব পণ্ডিতেরা আফ্রিক ভাষা সকলকে উক্ত দুই প্রকার ভাষার মধ্যবর্তী বলিয়া বিবেচনা করেন। প্রাচীন মিশরীয়দিগের ভাষা এই আফ্রিক-জাতীয় ভাষার মধ্যে পরিগণিত হইয়াছে। আমেরিক বর্ণের মূল ভাষা পূৰ্ব্বোক্ত সকল ভাষা হইতে ভিন্ন । উহাকে বিহু বর্ণাত্মক’ বলা যায়। কারণ এই সকল ভাষায় যদিও বিভক্তিযোগাদির কোন সুকৌশল দৃষ্ট হয় না বটে, তথাপি অনেকানেক মূল শব্দকে একত্র করিয়া অর্থ প্রতিপন্ন করা উহাদিগের প্রকৃতিসিদ্ধ বোধ হয় । এই সকল ভাষা আমেরিকাখণ্ডের আদিমনিবাসিগণের মধ্যে প্রচলিত ছিল । অদ্যাপি এই ভাষার প্রকৃতি উত্তমরূপে অবগত হওয়া যায় নাই । 一一浆亲名毫杀 ভাষাভেদ বিষয়ক পুরাবৃত্ত—নানা দেশে মনুষ্যসঞ্চার। পূৰ্ব্বে ভাষাভেদের যেরূপ ব্যবস্থা প্রদর্শিত হইল, কোন প্রাচীন জাতির ইতিহাসে তাহার কোন স্পষ্ট বিবরণ নাই । বাইবল গ্রন্থে লিখিত আছে যে, জলপ্লাবনের কতিপয় বৎসর পরে নোয়ার সন্ততিগণ টাইগ্রিস এবং ‘ইউফুেটিস্ নদীর মধ্যবৰ্ত্তী সিনার নামক কোন স্থানে উপস্থিত হইয়া তথায় একটী নগর এবং সুবৃহং কীৰ্ত্তিস্তম্ভ নিৰ্ম্মাণ করিতে আরম্ভ করিয়াছিল। স্মৃষ্টিকৰ্ত্ত সেই সময়ে ঐ সকল ব্যক্তির ভাষা ভেদ করিয়া দেন। তাহাতে জনগণ পরম্পর বাক্যালাপ করণে অশক্ত হইয়া নানা দিকে প্রস্থান করিতে লাগিল । এইরূপে মনুষ্যসমূহ বিবিধ জাতিতে বিভক্ত হয়। অনেকে কছেন, এই ব্যাপার খৃষ্ট জন্মিবার ১৯৯৬ বৎসর পূৰ্ব্বে ঘটিয়াছিল । উক্ত বাইবল গ্রন্থকে মূল স্বরূপ করিয়া এবং অপরাপর কতিপয় প্রাচীন জাতির ইতিহাস হইতে কোন কোন স্থলে সাহায্যগ্রহণ করিয়া আধুনিক্স পণ্ডিতগণ জাতিসমূহের আদিম বসতির স্থান যেরূপ নিরূপিত করেন,