द्विउँौझ डांशं । ६# লোক, এবং উহাদিগের ভাষা আৰ্য প্রকৃতিক। এক্ষণে অনেক স্থলে ঐ দুই প্রকার লোক সম্পূর্ণরূপে মিশ্রিত হইয়া গিয়াছে । কিন্তু কেণ্টিকদিগের পূৰ্ব্বেও ইউরোপ খণ্ডে যে অন্য কোন জাতি বাস করিত, তাহার ভূরি ভূরি প্রমাঞ্জাপ্ত হওয়া যায়। সেই সকল লোক ককেসীয় বর্ণের নহে। তাহার মোগলীজাতীয় ছিল। আসিয়া খণ্ডের অনেক স্থলেও ঐরূপ দেখা যায়। আমাদিগের দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যে মোগলজাতীয় কোন ভাষা প্রচলিত ছিল, তাহ পূৰ্ব্বেই কথিত হইয়াছে। এক্ষণেও যে সকল অসভ্য চুয়াড় জাতি বনে ও পৰ্ব্বতে বসতি করিতেছে, তাহারাও ককেসীয় বর্ণের লোক নহে। কিন্তু হিন্দুর ককেসীয় বর্ণসস্থত। ইহাতেই দেখা যায় যে, হিন্দুজাতির আগমনের পূৰ্ব্বেওঁ এই দেশে মনুষ্যসঞ্চার হইয়াছিল। কিন্তু হিন্দু জাতি যে কত প্রাচীন; তাহাও নির্ণয় করা যায় না । আফ্ৰিকাখণ্ডেরও স্থানে স্থানে ককেসীয় বর্ণের লোক দৃষ্ট হইয়া থাকে। আর এই খণ্ডের সর্বদক্ষিণে যে “হটেণ্টটু, জাতি নিবাস করিতেছে, তাহার ধে মোগলজাতীয় লোক, এমন বিলক্ষণ বোধ হয়। অতএব অবশ্যই অনুমান করা যাইতে পারে যে, প্রথমে ঐ খণ্ডে মোগলজাতীয় লোকের আগমন হয়; পরে ককেসীয় এবং ইথিয়োপীয় জাতি উহাতে যাইয়া বাস করিয়াছে। এই সকল বিবরণ পাঠ করিয়া অবশ্যই প্রতীতি হইবে যে, কোন দেশেরই যথার্থ আদিম বৃত্তান্ত সম্যকৃরূপে প্রাপ্ত হইবার নহে। কিন্তু তাই ধলিয়া যে, মনুষ্যজাতির অনাদিত্বাবস্থা স্বীকার করিতে হইবে, এমত নহে । ভূতত্ত্ববিদ্যাবিৎ পণ্ডিতগণ কর্তৃক নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে, কোন সময়ে এই পৃথিবী মনুষ্যজাতির বাসোপযুক্ত ছিল না। অতএব অবশ্যই তাহার পর ক্রমে ক্রমে মনুষ্যের উৎপত্তি হইয়াছে, তাহার সন্দেহ নাই। কিন্তু সেই কাল যে এক্ষণকার কত পূৰ্ব্ব, যুক্তিদ্বারা তাহার সর্ববাদিসন্মত স্থির সিদ্ধান্ত করা নিতান্ত অসাধ্য । মনুষ্য-সমাজ । আমুর বাল্যাবধি যে সকল অতি প্রয়োজনীয় ও মুখোপযোগী ধর্মগ্রীদম্ভারপরিবৃত হইয়৷ থাকি, নিরস্তর অভ্যাসবশতঃ সেই দ্রব্য যে কষ্ট
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।