দ্বিতীয় ভাগ । >S স্থানে স্থানে ভ্রমণ করিয়া বেড়ায়। অতএব ইহাদিগের শাসন প্রণালীকে ‘কুল-তন্ত্রতা’ বলা যাইতে পারে । পশুপালন দ্বারা যত লোক প্রতিপালিত হয়, কুষিদ্বারা তদপেক্ষ অধিক লোকের সচ্ছন্দে ভরণ পোষণ হইতে পারে । দেশভেদে এবং প্রকৃতিভেদে এই জ্ঞান কোন কোন জাতীয় লোকের মনে অতি শীঘ্রই উদ্ভূত হয় । তাহা হইলেই উহারা আর নান স্থানে পর্য্যটন করিয়া বেড়ায় না।--কোন উৰ্ব্বর ভূমিখণ্ড দেখিয়া লইয়া তাহাতেই বাস করিতে আরম্ভ করে । এই অবস্থায় প্রথমে মানববর্ণ কুল-তন্ত্রতারই বশীভুত থাকে । কিন্তু অধিক স্থলেই এই অবস্থা অতি শীঘ্র পরিবর্তিত হইয়া যায়। কোন একটা কুলের লোক অধিকসংখ্যক, অধিক পরাক্রান্ত বা অধিক দুরাকাজ হইয়। অপর কুলজাত লোকের প্রতি আক্রমণ করে, এবং তাহাদিগকে জয় করিয়া আপনাদিগের অধীন করিয়া রাখে। এইরূপে তিন চারিট কুল একত্র হইলে, তৎসমুদয়ের কৰ্ত্তাকে রাজোপাধি প্রদত্ত হয়। এই প্রকারেই বর্তমান বিস্তীর্ণ রাজ্য সকলের উৎপত্তি হইয়াছে। এই অবস্থায় রাজগণ যুদ্ধদ্বারাই অধিক লাভ দেখিয়া অনুক্ষণ তাহাতেই আসক্ত হইয়া থাকে, সুতরাং রাজ্য সকল ক্রমশঃ বিস্তুত হইয়া উঠে । শাসন-প্রণালী । একত্র সমাজ বদ্ধ হইয়া থাকাতে মন্থয্যের যেরূপ স্বাভাবিক প্রবৃত্তি থাকে, সেইরূপ কোন প্রকার ধৰ্ম্ম কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করাতেও মানবগণের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি আছে। সেই প্রবৃত্তি ক্রমশঃ প্রবল হইলে বিশুদ্ধ-চিত্ত, সমধিক বুদ্ধিবিদ্যাসম্পন্ন কতকগুলি লোক প্রাচুভূত • হয়েন। তাহারা জনসাধারণকে ধৰ্ম্মোপদেশ দেন । র্তাহাদিগের শিষ্যেরা তাহীদের বশবর্তী হইয়া চলে । রাজা যত দিন স্বধৰ্ম্ম-পরায়ণ থাকেন, তত দিন তাহার রাজার পক্ষ অবলম্বন করেন । কিন্তু রাজা দুবৃত্ত হইলে যাজকের রাজার বিপক্ষ হন । এইরূপে কোথাও কোথাও রাজপক্ষে এবং যাজকপক্ষে ঘোরতর বিবাদ হইয়া গিয়াছে। তাছাতে যাজকবর্গ প্রায়ই সৰ্ব্বস্থলে লন্ধবিজয় হইয়াছে । আর যে সকল দেশে যাজকদিগের সহিত রাজার স্পষ্ট বিবাদ VG
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।