দ্বিতীয় ভাগ । Rరి রহিত হইয়া গিয়াছে এবং কোথাও কোথাও ঋণ জন্ত কারাদণ্ড রহিত হইয়া যাইবার উপক্রম হইতেছে । ইহাতেই অবস্থাভেদে আইনের প্রকৃতি যে কিরূপ পরিবর্তিত হয়, তাহ বিলক্ষণ বোধ হইতে পারে । শিল্পপ্রণালী এবং বাস্তুশিল্প | যে রূপ মানবজাতির ব্যবস্থা প্রণালী, শাসন প্রণালী প্রভৃতি পর্য্যালোচনঃ করিয়া কোন দেশের লোক কেমন অবস্থাপন্ন হইয়াছে বুঝিতে পারা যায়, সেইরূপ শিল্পবিদ্যারও উৎকর্ষ পরীক্ষা করিয়া জনগণের সভ্যাবস্থা কত উন্নত হইয়াছে, নিদিষ্ট করা যাইতে পারে। অতএব শিল্পতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণ কত্ত্বক এই বিষয়োপলক্ষে যাহা যাহা কথিত হইয়াছে, তাহার সারাংশ সঙ্কলিত হইবে । প্রথমতঃ বাস্তু-শিল্পের প্রণালী ৰিবৃত করা যাইতেছে । প্রায় সকল প্রকার জীবই স্ব স্ব নৈসর্গিক সংস্কার প্রভাবে আপন আপন বাসোপযোগী স্থান প্রস্তুত করিয়া লইতে পারে। পক্ষীদিগের কুলায় আছে, হিংস্র পশুগণ স্ব স্ব গহবরে গিয়া বিশ্রাম করে, পিপীলিকাদি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবদিগেরও নিদিষ্ট বাসস্থান থাকে। মনুষ্যেরাও প্রথমে উক্তরূপ কোন বাসস্থান প্রস্তুত করিয়া থাকিত, সন্দেহ নাই। দেশের প্রকৃতিভেদে বৰ্ব্বর নরগণের আরাস কোথাও বা তরুস্কন্ধে, আর কোথাও বা পৃথিবীগর্ভে হয় । শীতপ্রধান দেমে মনুষ্যেরা পুথিবীতে থাত করিয়া থাকে । আর গ্রীষ্মপ্রধান দেশে তাহtদিগের বাস তরুতলে বা তদুপরিভাগে হয়। ইউরোপের স্থানে স্থানে ঐ সকল আবাস গর্তের চিকু সমস্ত অদ্যাপি প্রাপ্ত হওয়া যায় । সেই সকল গৰ্ত্তের মুখ প্রস্তরদ্বারা বদ্ধ, প্রবেশ ও নির্গমনের নিমিত্ত কেবল এক একটা অতি সঙ্কীর্ণ ছিদ্রমাত্র ছিল । গর্তের ভিতরে কাষ্ঠদহনজাত অঙ্গার দৃষ্ট হইয়াছে, এবং শিলা বা অস্থিনিৰ্ম্মিত শরমুখাদি স্থানে স্থানে প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। অতএব ঐ সকল স্থান যে নরগণের আবাস ছিল, তাহার কোন সন্দেহ হইতে পারে না। ঐ সকল গৰ্ত্তে যে সকল অস্ত্ৰ শস্ত্র পাওয়া গিয়াছে, সকলই শিলানিৰ্ম্মিত, একটও ধাতুনিৰ্ম্মিত নয়। আর তথাকার লোকেরা যে কোন প্রকার ধাতুর ব্যবহার জানিত, এমত কোন চিকুই প্রাপ্ত হওয়া যায় নাই । কিন্তু চমৎকারের বিষয় এই যে, ঐ প্রকার আবাসগৰ্ত্ত অনেকগুলি করিয়া এক এক স্থানে দৃষ্ট হইয় থাকে। ইহাতেই বোধ হয় যে, তখনও মঙ্গুষ্যেরা
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।