बिडौग्न डोो । १:** সম্পৃক্ত বছৰিধ প্রমাণ, সকলই জানিতে পারা যায়। আর ঐ সকল কৰিত এক্ষণকার কবিতার দ্যায় কেবল ছন্দোবন্ধে পঠিত মাত্র হইত, এমত নহে । পূৰ্ব্বকালে উক্ত কবিগণ অ বা তাহাদিগের শিক্ষিত শিষ্যেরা তান লয়-বিশুদ্ধ স্বরসংযোগে ঐ সকল কবিতা গান করিতেন । এইরূপে কবিতা এবং সঙ্গীত বিদা দুইই একেবারে প্রবৃত্ত হয় । এমন অসভ্য কোন জাতিই নাই, যাহtদিগের মধ্যে কিছুমাত্র সঙ্গীত এবং কাব্যের চর্চা দেখা যায় না । ফলতঃ ইহাদিগের উভয়কে ভাষার সহজাত বলিলেই হয় । কাব্য এবং সঙ্গীতের কিছু উন্নতি হইলেই চিত্রবিদ্যার আবির্ভাব হয়, এবং চিত্রের সঙ্গে সঙ্গেই ভাস্করীয় শিল্পের উন্নতি হইতে থাকে । জাতীয় ধৰ্ম্ম অত্যন্ত বিভীষিক-জনক থাকে, তাবৎকাল চিত্রের বা ভাস্করীয় কার্য্যের গুণ সমুদয় বিশিষ্টরূপে প্রকাশ পায় না । ক্রমে যখন কবিগণ রূপকালঙ্কারদ্বারা তাহাদিগের মনোগত বিবিধ ভাবের রূপ কল্পনা করিতে আরম্ভ করেন, তখন শিল্পিগণ সেই সকল কল্পিত রূপের প্রতিরূপ প্রকাশ করিবার যত্ন করিতে থাকে । তাহাতে শিল্পকার্য্যের গৌরব বৃদ্ধি হয় । কারণ, দৃষ্ট পদার্থের অবিকল অনুকরণ করিতে পারিলেই যে শিল্পের প্রাধান্য হয় এমত নহে, চিত্রপটে অথবা পাষাণময় মূৰ্ত্তিতে মানবের মনোগত ভাৰ প্রকাশ করিতে পারিলেই শিল্পের যথার্থ তাৎপৰ্য্য সিদ্ধ হয় । প্রাচীন জাতির মধ্যে গ্রীকের এই বিষয়ে সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক কৃতকার্য্য হইয়াছিল। তাহারা হৰ্ম্ম্যশিল্পে যেমন সহৃদয়ত প্রকাশ করিয়াছিল্প, চিত্র এবং ভাস্করীয় কার্য্যেও সেইরূপ সহৃদয়ত। প্রকাশ করে। ঐ সকল বিষয়ে অদ্যাবধি কেহই তাহাদিগকে অতিক্রম করিতে পারে নাই । অধুনা সুসভ্য জাতীয়দিগের মধ্যে শিল্প শাস্ত্র মাত্রেরই 'ৰিশিষ্ট সমাদর দেখিতে পাওয়া যায়। র্তাহাদিগের মধ্যে ঐ সকল শাস্ত্রে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ কোন ব্যক্তি সুশিক্ষা সম্পন্ন বলিয়া গণ্য হয়েন না । পরস্তু তাহার। ঐ সকল শিল্পের যে প্রকার ভূরি ভুরি ভেদ করিয়াছেন, তাহা এক্ষণে বর্ণনীয় নহে। এক্ষণে এইমাত্র বক্তব্য যে কবিতার প্রাচুর্ভাব হ্রাস হইয়া আসিলেই প্রায় মনোবিজ্ঞান কাণ্ডের চর্চা অধিক হয়। সেই সময়ে আলঙ্কারিক, বৈয়াকরণ প্রভৃতি শান্ধিকগণও বহুসংখ্যায় প্রাদ্বভূত হন । তাহার পর প্রকৃত ইতিবৃত্ত লিখিবার কাল উপস্থিত হইয়া থাকে। ঐ সময়ে প্রত্যক্ষমূলক পদার্থতত্বেরও
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।