দ্বিতীয় ভাগ । &సి "মহাত্মার" যাহা বলেন “বুদ্ধিমানের” যে উপদেশ দেন হিন্দুরা ভক্তিপূৰ্ব্বক সে সকল কথাও শুনে এবং তদনুযায়ী কাৰ্য্য করে। শাস্ত্রে উল্লেখ না থাকিলেও “দেশাচার" এবং “দেশব্যবহার” ইহাদিগের নিকট অতি মান্ত । ইউরোপীয়ের এই সকল শাসনের তেমন বশীভূত নহেন । এই জন্ত উছাদিগের সকল কাজই আইনের দ্বারা নির্দিষ্ট, আর যেখানে আইন কিছু স্পষ্ট নির্দেশ না করিয়াছে সেইখানেই ইউরোপীয় জনগণ একেবারে নিরঙ্কুশ । রাজব্যবস্থা পাপেব অতি স্থলাংশই ধরিয়া চলিতে পারে, পাপের ক্ষাংশ গুলি রাজ ব্যবস্থার হাতে ঠেকে না । কিন্তু রাজব্যবস্থা ভিন্ন ইউরোপীয়দিগের পাপাচরণ দমনেও আর কোন প্রকৃতরূপে কাৰ্য্যকারী বিধান নাই, সুতরাং উহার অধিক পাশবাচার । ইউরোপীয় সমাজের এই দোষ লক্ষ্য করিয়া এবং উহাদিগের পরিগৃহীত ধৰ্ম্মপ্রণালী হইতে ঐ দোষের কোন অপনয়ন হয় না দেখিয়া অগষ্ট কোমটি আপনার শিষ্যদিগের সম্বন্ধে ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন যে, তোমরা প্রকাশু্য ভাবে জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিবে অর্থাৎ তোমাদিগের আচার ব্যবহারের প্রতি আত্মসমাজের চক্ষু পড়িতে দিবে। সমাজের চক্ষু পড়িলেই আচার ব্যবহার বিশুদ্ধ হইবে। হিন্দুদিগের সামাজিক শাসন ঐ কাজটা করিয়া আসিতেছে । সকল হিন্দুকেই প্রকাশুভাবে জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিবার পথে স্থিরতর রাখিতেছে। আজি কালি অনেকে সমাজের শাসন অমান্ত করিতেই শিখিতেছেন। তাহারা ভাবেন না যে র্তাহাদিগের আত্ম সমাজই তাহাদিগের ধৰ্ম্মজ্ঞান এবং নীতিজ্ঞানের একমাত্র অবলম্ব, র্তাহারা মনে করেন না যে আত্মসমাজের প্রতি উদ্ধত ব্যবহার অতি নীচ প্রকৃতির লক্ষণ, তাহারা জানেন না যে ভারতবর্ষে যতদিন সমাজ শাসন সম্মানিত হইতেছে ততদিন এই দেশ পরাধীন হইয়াও কতক পরিমাণে স্বাধীন, তাহারা ভাবেন না যে যদি সমাজ শাসন একেবারেই তিরোহিত হইয়া যায়, তবে ভারতবাসী আর কখন জাতীয় ভাৰ প্রাপ্ত হইবে না। সমাজশাসন বিলুপ্ত হইলেই পশুভাব প্রবল হইবে, পাপাচরণ বাড়িৰে ঐবং হিন্দু জাতীয়দিগের যে উন্নত ধৰ্ম্মনীতির জন্ত ইহার এখনও পৃথিবীর সৰ্ব্বোপরি অবস্থিত সেই ধৰ্ম্মনীতির অধঃপাত হইবে। এই বিষয়ে একটা বড়ই স্থল কথা কখন কখন শুনা ৰায়। কেহ কেহ বলেন যে অপরাধের দও রাজ ব্যবস্থানুসারে হইবে স্থার পাপ কাৰ্য্যের দণ্ড ঈশ্বর করিবেন, এই
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।