দ্বিতীয় ভাগ ! Ꮦ←☾ আর একটী হয় না। যেটা প্রথমাবধি থাকে সেইটাই বাড়ে বা কমে। একটা স্থবোধ স্বদেশীয় যুবা আমাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, “মহাশয়! দেশে ত এতগুলি ধৰ্ম্মপ্রণালী রহিয়াছে, ইহাদিগের মধ্যে কোন্ ধৰ্ম্মটী সত্য ।” আমি বলিলাম “তোমার পক্ষে তোমার পিতার যে ধৰ্ম্ম তাহাই সত্য ।” আমার কথার তাৎপৰ্য্য এই যে, পিতৃ পিতামহাদি হইতে প্রাপ্ত যে সংস্কার সেই সংস্কারই ধৰ্ম্মমূল। অতি আত্মীয় কোন ইউরোপীয় আমাকে বলিয়াছিলেন - “যে ব্যক্তি পৈত্রিক ধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করে তাহার মস্তিষ্কের কোথাও না কোথাও একটু ফুটে আছেই আছে।” আমারও তাঁহাই বোধ হয় । মস্তিষ্ক-সংস্থান-শাস্ত্রে বলে যে মস্তিষ্কের সর্বনিম্ন ভাগে পূৰ্ব্বপুরুষ গত এবং অধিক অভ্যাসজনিত সংস্কারসকল নিবদ্ধ হইয়া থাকে। সুতরাং মস্তিষ্কের অপরাপর চারিভাগ যাহাতে পাশবপ্রবৃত্তি, ভাবুকতা এবং ধৰ্ম্ম প্রবৃত্তি জন্মে, সেগুলির স্থান ঐ সংস্কার নিবদ্ধ ভাগের উপরে। অতএব পূৰ্ব্বগত সংস্কার মূলের সহিত ঘে ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তি বিশ্লিষ্ট দেখায়, তাহার বিশ্লেষ যেন কোন অস্বাভাবিক আঘাত বলেই হইয়াছে বোধ হয় এবং তাদৃশ মস্তিষ্কে কোথাও ফুট হইয়াছে বলা যাইতে পারে। হিন্দু সমাজ ধৰ্ম্মনীতি । শান্স প্রমাণ অন্যান্য প্রমাণ অপেক্ষ অনেক ছৰ্ব্বল, তাহার সর্দেহ নাই। কিন্তু উহার বল নিতান্ত অল্প নয় । ভগবান’ নামক কোন ব্যক্তি অপুর দশ । জনের কথায় আপনাকে ‘ভূত‘ বলিয়া মনে করিয়াছিল। এই প্রসিদ্ধ গরটাতে শাদ প্রমাণের বল প্রত্যক্ষাদি প্রমাণের অপেক্ষাও উচ্চ বলিয়া দেখা যাইতেছে। অন্ততঃ পাচ জনে জড়িয়া একটা কোন কথা বলিলে, আর সেই কথা পুনঃ পুনঃ বলিলে, উহা অনেকস্থলে সত্য বলিয়া প্রতীত হইয়া যায়। ইংরাজের কোন বিষয়েই আপনাদের ব্যাখ্যা বাহির করিতে ক্রটি করেন না । উছার অনুক্ষণ আপনাদের ধৰ্ম্মনীতিরও প্রশংসা করিয়া থাকেন, এবং ইংরাজী শিক্ষিত নব্যদলও শুক পক্ষীর দ্যায় ঐ বাক্যটা পুনঃ পুনঃ শুনিয়া কণ্ঠস্থ করিয়া লয়েন। কি করিবেন, ইংরাজীতে কথা কহিতে এবং ইংরাজীতে লিখিতে গেলেই ইংরাজের মত না বলিলে এবং না লিখিলে যেন যতিভঙ্গ দোষের স্তায় একটা "এবারতে” দোষ পড়িয়া ৰায়। আজি কালি যে সে ইংরাজ বলিতেছেন, আমরা
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।