চষ্ট বিবিধ প্রবন্ধ । একটা অপূৰ্ব্ব অপবিত্র বিচার প্রণালী আছে। উইারা কেহ কেহ বলেন যে শরীর এবং আত্মা হুইটী পৃথক্ বস্তু । শরীর কৃত পাপ আত্মাকে স্পর্শ করে না এবং আত্মা যে পাপ করে, তাহ শরীরে লব্ধ হয় না! কি আশ্চৰ্য্য! আবার এই জাতির লোকের স্পৰ্দ্ধা করিয়া হিন্দুসন্তানকে ধৰ্ম্মনীতি শিখাইতে চায় ! যাউক, উচ্চ উচ্চ ধৰ্ম্মভাবে যে ইউরোপীয়ের হিন্দুকে শিখাইবার কিছুই নাই, শিখিবার জিনিসই অনেক আছে, সে কথা নিশ্চয় হইল । এখন দেখা আবশ্যক ষে নীচের দিকে হিন্দুর কিছু শিখিবার আছে কি না । আমার বোধ হয় একটী বিষয় বিশেষ শিক্ষণীয়ই আছে—সেটী দল বাধিবার ক্ষমতা। যদি হিন্দুরা ইংরাজের স্থানে ঐ ধৰ্ম্মট শিথিয়া লইতে পারেন তাহ হইলে আর কোন দুঃখই থাকে না । একটা ইংরাজের সহিত কথা কহিতে কহিতে আমি “উই” (we আমর) বলিয়াছিলাম। তিনি একবারে ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিলেন এবং বলিলেন “দেখ, তোমার যদি আমরা বলিবীর ষো থাকিত, তাহা হইলে আমরা এখানে থাকিতাম না !” অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে দুইজনেও একমত হইতে অক্ষম ! কেহ কেহ মনে করিবেন, ইংরাজের নিকট সৌন্দর্য্যবোধটও শিক্ষণ করা আবশ্যক। আমি তাহাদিগকে বলি, একবার দাক্ষিণাত্যে ভ্রমণ করিয়া আইল । কুম্ভকোণম, চিদাস্তুম, মদুর প্রভৃতি স্থানে যে সকল ভাস্করীয় মূৰ্ত্তি এবং নিৰ্ম্মাণ এখনও বিদ্যমান আছে, সেগুলি স্ব স্ব চক্ষে দেখ। বুঝিতে পারিবে, কি জন্ত ভারতবর্ষ-বিদ্বেষী ইউরোপীয়রা ঐ সকল কীৰ্ত্তিকে গ্ৰীক কারুবর্গের কীৰ্ত্তি বলিয়া থাকেন । আবার যদি কেহ বলেন ইংরাজের স্থানে একপত্নীকত শিক্ষা করা আবখক । আমি বলিৰ একপদীকতা আমাদিগের শাস্ত্রে ভূয়োভূয়: প্রশংসিত আছে। আর এক্ষণে একপদীকতা প্রায়ই সিদ্ধ হইয়া উঠিয়াছে। t_ পারিবারিক নীতি । ইংরাজ সমাগমে আমাদিগের অভু্যচ্চ ধৰ্ম্মনীতির উপর আঘাত হইতে পারে না । উৎকৃষ্ট অধিকারী কথন অপকৃষ্ট অধিকারীর শিষ্যত্ব স্বীকার করিতে পারে না । - - : . কিন্তু আমাদিগের পারিবারিক রীতি নীতির দশা কি হইবে ? ঐ-রীতি,
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।