রত্নাবলী 4 ৯৭ নয় দর্শকের সাগরিক কর্তৃক মদনভ্রমে রাজার উদ্দেশে পুপাঞ্জলি নিক্ষেপ । হওয়াতেই দেখিয়াছেন; উদয়ন নিজেওঁ যে, সাগরিকার প্রেমের সম্যক প্রমাণ পাইবেন, কবি তাহারও বেশ যোগাড় করিয়াছেন। কিন্তু সাগরুি কারও ত উদয়দের মনের গতিসম্বন্ধে যথেষ্ট প্রমাণ চাই। সেরূপ প্রমাণ নপাইলে সেই লজ্জাশীল রাজকুলবালা কেমন করিয়া আপনার হৃদয়ের দ্বার উন্মুক্ত করির রাৰিবে পদ্মপত্রে শয়নাদি ব্যাপার নির্বাহ করাইয়। কবি, তাহারই উপায় করিয়া রাখিলেন। উদয়ন ঐ সকল বিরহোপকরণ দেখিয়া অনেক কথা বলিবেন, এবং সাগরিক অলক্ষ্যে থাকিয়া সেই সকল কথা শুনিবেন। কালিদাসের শকুন্তলাতে ইহার ঠিক বিপরীত বর্ণন দেখা যায়ণ সেখানে বিরহিণী শকুন্তলার পদ্মপত্রে শয়নাদি রাজা ছদ্মন্ত নিভৃতে থাকিয়া স্বচক্ষে দর্শন করেন। রত্নাবলীকারের সত্রুচির অপর বিশেষ প্রমাণ এই যে, তিনি বিরহ ব্যাপারের বর্ণন যে পৰ্যন্ত প্রয়োজনীয়, ঠিক সেই পৰ্য্যন্ত করিয়াই ক্ষান্ত হইয়াছেন, অধিক বাড়াবাড়ি করেন নাই। যদি পদ্মপত্রে শয়নাদি কদলীগৃহের অভ্যন্তরেই অভিনীত হয়, দ্রষ্টুবর্গের সমক্ষে না হয়, মাটিকায় এরূপ কোন নির্দেশ ছিল, মনে করা যায়, তাহা হইলে রত্নাবলীকারের প্রতি কিছুমাত্র দোষ স্পর্শিতে পারে না। যাহা হউক, বিরহ ব্যাপার সংক্ষেপেই সারা হইল। রাজার অশ্বশাল হইতে একটা বৃহৎকায় বানর উপহার শিকল ছিড়িয়া বাহির হওয়াতে রাজবাটীতে মহা হল স্থল পড়িয়া গেল। কদলীগৃহের অভ্যস্তরবর্বিনী সখীদ্বর ভয়ে জড় সড় হইয়া তমাল পাদপচ্ছায়ায় লুকাইলেন। বানরটা কদলীগৃহে প্রবেশ । করিল-পাখীর খাচায় দই মাখা ভাত ছিল, তাহ খাইবার নিমিত্ত । খাচাটা নাড়িতে চাড়িতে উহা ভাঙ্গির গেল—শারিক উড়িয়া পলাইল। সাগরিক এবং স্বসঙ্গতা পাখীটা ধরিবার জন্ত, সে যে দিকে উড়িয়াছিল, সেই দিকে চলিল। " রাজ্ঞীর পোষিত শারিকা উড়িয়া গেলে দাসীরা যে বিশেষ ব্যগ্র হুই v9
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/১০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।