রত্নাবলী। $ 95. এই কবিতাটি অতি উপাদেয়। স্নার কোথাও প্রকৃত প্রণয়ের এরূপ সুন্দর সুসন্দিগ্ধ প্রমাণ প্রদানের উপায় করা হইয়াছে বলিয়া আমাদিগের স্মরণ হয় না। কিন্তু এতাদৃশ অপূৰ্ব্ব এবং রুচিকর প্রমাণের আবিস্কৃতি মাত্র এই কবিতাটির গুণ নহে। ইহাতে যে বক্তার গূঢ় প্রণয়াকাঙ্ক সুচিতৃ করিতেছে, উহাই এই কবিতাটার বিশেষ গুণ। রাজা বলিলেন, যাহাদিগের কর্ণে সখীজনের সহিত বিরহিণীর বিশ্রম্ভ আলাপের কথা শিশু, শুক বা শারিক কর্তৃক পুনরুক্ত হয়, তাহার। ধন্য। কিন্তু শুদ্ধ ঐক্কপ পুনরুক্তি শুনিতে পাইলেই কি ধন্য হওয়া যায় ?—কখনই নয়। যদি নিজেই তাদৃশ বিশ্রস্তাপের বিষয়ীভূত । হওয়া যায়--তা হলেই ধন্থ ! কবি, এই “ধন্ত’ শব্দটির প্রয়োগ করিয়া কতটা ভাবই ব্যক্ত করিলেন। তিনি পূৰ্ব্বে এক বার দেখাইয়াছেন যে, উদয়নের হৃদয়ে কোন বিরহিণীর প্রণয়াস্পদ হইবার নিমিত্ত একটি গুঢ় আকাজক্ষা আছে, আবার এই স্থলে সেই ভাব: অধিকতর স্পষ্ট করিলেন। উদয়ন ঐরূপ ধন্য পুরুষ হইতে একান্ত অভিলাষী ! রাজা শারিকার অনুসরণে বসন্তকের সহিত কদলীগৃহে প্রবেশ করিলেন—সেখানে গিয়া একটী চিত্রফলকে তাহারা নিজের এবং লাবণ্যময়ী একটা যুবতীর চিত্র অঙ্কিত রহিয়াছে দেখিতে পাইলেন। দেখিতে দেখিতে বলিলেন— , : লীলাবধূতপদ্মা কথয়ন্তী পক্ষপাতমধিকন্নঃ। মানসমুপৈতি কেয়ং চিত্রগত রাজহংসীব। আমাদের প্রতি সমধিক পক্ষপাত প্রকাশ করত লীলাচ্ছলে পদ্ম বিকম্পিত করিয়া রাজহংসীর স্থায় মানসে প্রবেশ করিতেছেন, চিত্রাঙ্কিত ইনি কে ? রাজহংসী সাগরিক উদয়নের হৃদয়পদ্ম বিকম্পিত করিয়া তাহার মানস সরোবরে প্রবেশ করিল। রাজা সহচর বসন্তককে ঐ চিত্রগত রূপমৗধুরীর ব্যাখ্যা করিয়া অনেক কথাই বলিতে লাগিলেন।১:সে সকল
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/১০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।