রত্নাবলী । > 29 করিলেন, “তুমিই শোন—তোমারই অমলখিত চিত্রের বর্ণল হইতেছে।” । এই উক্তি প্রভুক্তির দ্বারা কবি, রাজার প্রণয় ভাবের আরও প্রমাণ দেখাইবার প্রয়োজন আছে, বুঝাইলেন। কালিদাস র্তাহার শকুন্তলায় রাজা দুষ্মন্তকে দিয়া বলাইয়াছেন— - পিপাসাক্ষামকণ্ঠেন যাচিতঞ্চমু পক্ষিণ। - নবন্মেবোজিৰত চাস্য ধারা নিপতিত মুখে ॥ পক্ষী পিপাসাগুক্ষকণ্ঠে অৰু যাদ্ধা করিল, অমনি নবমেঘপরিত্যক্ত ধারা তাহার মুখে পতিত হইল। . রত্নাবলীকার তাহার মায়িকাকে তত বট করে চাতকের মুখে ফেলিতে চানে না। - এই জন্তই ঐ উক্তি প্রত্যুক্তি “ ও ত ছবির প্রশংসা—আমার কি ?” সেই “আমার কি” সন্দেহ কাটাইবার জন্ত -ع-5چezfort Caff ভাতি পতিতে লিখন্ত্য স্তস্য বাস্পামুণীকরকণেীঘঃ । স্বেদোদগমইব করতলম্পর্শাদেষ মে বপুর্ষি। লিখিতে লিখিতে ইহার বাষ্পবারিশীকর সমূহ আমার শরীরে পতিত হইয়া করতল সংস্পৰ্শজাত স্বেদোদগমের ন্যায় দেখাইতেছে। অতএব সামান্ত ছবির ভাবে ছবি খানি দেখা হইতেছে ন—ছবি হইতেই প্রকৃত ভাবান্তর ঘটয়াছে। ইহার পর যে পদ্মপত্রে সাগরিকার শয়নাদি হইয়াছিল—সেইগুলি দেখিয়া, তুলিয়া, নিজ বক্ষে ধারণ করিয়া, রাজা অনেক কথাই বলিতে লাগিলেন--আর প্রমাণ প্রাপ্তির পক্ষে কোন ক্রটিই রহিল না। কুসঙ্গতা আর স্থির থাকিতে পারিল না—সে কদলীগৃহে প্রবেশ করিল, এবং দুই চারিটা কথা কহিয়াই রাজাকে বলিল—মহারাজ ! ঐ চিত্রফলকে রতিবাপদেশে তাহাকে চিত্রিত করায়, সখী আমার প্রতি কুপিত হইয়াছেন, মহারাজ আসিয়া র্তাহার ক্রোধ নিবারণ করুন!
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/১১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।