রত্নাবলী । > రి సి এক্ষণে জিজ্ঞাস্য হইতে পারে, স্তবে কি এই নাটকটি রূপক বর্ণনা । আমরা এমন কথা বলিতে পারি না। রত্নাৱলী কখনই প্রবোধচন্দ্রোদয় নাটকের স্তায় আধ্যাত্মিক বিষয়ের অভিনয়াকারে প্রদর্শন নহে। কিন্তু ঠিক তেমন না হইলেও যখন ইয়ার মূলগ্রন্থে নায়ক এবং নায়িক উভয়েরই দেবতারূপে অভিব্যক্তি আছে, তখন এই নাটকার উপরেও যে দৈব ভারের কতকটা ছায়া পড়িয়াছে ইহা সম্ভবপর বলিয়া বোধ হয় ; বিশেষতঃ যখন দেখা যাইতেছে যে, রত্নাবলীকার শ্লিষ্ট পদ ব্যবহারে বিশেষ সমুৎসুক, এবং দ্ব্যর্থ ঘটাইয়া লিখিতে বিলক্ষণ নিপুণ, তখন নাটকটির আপাতদৃষ্ট তাৎপর্ঘ্যের অভ্যন্তরে তিনি আর একটা গৃঢ়তাৎপর্য্য রক্ষা করিয়া চলিয়াছেন এরূপ অনুমান তাহার সম্বন্ধে বিলক্ষণ কুসঙ্গত বলিয়াই বোধ হয়। যদি কোন গুঢ় দৈব ভাব রত্নাবলীতে থাকে, তবে সে কি ভাব হইবে ? নায়ক ‘উদয়ন’ ‘পুরুষোত্তমের প্রতিরূপ হইলে, তিনি ত্রিগুণাত্মিক প্রকৃতিতে সন্মিলিত হইবেন, কারণ পুরাণ-শাস্ত্রে রলে— লক্ষ্মী সরস্বতী গঙ্গা তিস্রো ভাৰ্য্যা হরেরপি । প্রেমাসমাস্তাস্তিষ্ঠন্তি সততং হরিসন্নিধেী ॥ লক্ষ্মী, সরস্বতী এবং গঙ্গা (দেবী গৌরীর স্থানীয়া ) শ্ৰীছুরির এই তিন ভাৰ্য্যা, প্রেমে সমান, সৰ্ব্বদা হরি-সমীপে থাকেন। প্রথম স্ত্রী যদি গৌরীর প্রতিরূপা হয়েন, তবে অপর দুই জুনের মধ্যে একজন অবশ্যই ‘সরস্বতী’ এবং একজন অবশ্যই “লক্ষ্মী’ হইবেন। রত্নাবলীতে উদয়নের দ্বিতীয় রাজ্ঞীর নাম নির্দেশ নাই—কিন্তু *প্রদ্যোতসুতা’ বলিয়া প্রথমাঙ্কের প্রারম্ভেই তাহার উল্লেখ আছে। *প্রদ্যোত’ শব্দের অর্থ ‘অগ্নি’ এবং ‘ব্ৰহ্মনন্দিনী’ বাণীকে অগ্নির কন্যাও বলিয়া থাকে। মূলগ্রন্থ বৃহৎ কথায় উদয়নের দ্বিতীয় রাজ্ঞীর নাম আছে। উহ। ‘পদ্মাবতী’। ‘পদ্মাবতী’ বিশেষরূপে দেবী লক্ষ্মীরই নামান্তর, তপে উহা দেবী সরস্বতীর ও লামাস্তুর না হইতে পারে, এমত নহে। কিন্তু
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/১১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।