মৃচ্ছকটিক । ১২১ বনং গন্থং বুদ্ধিৰ্ভবতি চ কলত্রাৎ পরিভৰো, - - হৃদিস্যঃ শোকাগ্নিৰ্ন চ দহতি সন্তাপয়তি চ ॥ . দারিদ্র্য চিন্তার আস্পদ, দারিদ্র্য হইতে পর কর্তৃক পরিভব প্রাপ্ত হইত্তে , হয়। লোকে শক্রত করে, মিত্র ব্যক্তিরাও ঘৃণা করে, দরিদ্রতা হেতু আত্মীয় বন্ধুরাও বিদ্বেষ করিয়া থাকে, বনে যাইতে মতি হয়, ভাৰ্য্যও তিরস্কার করে। হৃদয়স্থ শোকাগ্নি ভস্ম করে না, কিন্তু পোড়াইতে থাকে । উল্লিখিত কয়টা কবিতাতে আর্য্য নায়কের মনে দারিদ্র্যাবস্থায় যে সকল দুঃখ অতি প্রবল হইয় উঠে, তাহাই বলা হইল—অনার্য্যের অর্থাৎ স্লেচ্ছাদির মনে স্বতঃই যে প্রথম এবং প্রবল অনুভব হয়, সে কথার নামগন্ধও এখানে নাই। ক্ষুদ্রচেতা ব্যক্তি দরিদ্র হইয়া পড়িলে আপনি খাবে কি, এই প্রথম চিন্তা , তাহার পর স্ত্রী পুত্র খাবে কি, এই দ্বিতীয় চিন্তা ; তাহার পর আপনাদের ভাল খাওয়া ভাল পরা ভাল থাকার কি হইবে, এই চিন্তা—কিন্তু আৰ্য্যনায়ক চারুদত্তের ও সকল চিন্তা নাই। অতিথি আইসে না, স্বহৃজ্জনের শিথিলপ্রণয় হয়, লজ্জা, নিস্তেজস্বিত, পরিভব, নিৰ্ব্বেদ, শোক, বুদ্ধিভ্রষ্টতা প্রভৃতি দোষ দারিদ্র্য হইতে জন্মে, এই সকল চিন্তাই তাহার মনে অতি বলবতী । কবি এইরূপ আপন নায়ককে প্রথম হইতেই উদাত্ত গুণে বিভূষিত করিয়া তাহার পর তাহাকে অতি বিস্পষ্ট আর একটা মুদ্রাঙ্কণে মুদ্রিত করিয়া তাহার আর্য্য ভাব দেখাইয়াছেন । র্তাহার বয়স্য মৈত্রেয় বলিলেন —“দেবতাদিগের এরূপ পূজা করিয়াও যখন তোমার প্রতি র্তাহারা প্রসন্ন হয়েন নাই, তখন আর তাহাদের পূজার গুণ কি ?” চারুদত্ত এই কথার উত্তরে বলিলেন,— মা মৈবং, গৃহস্থস্য নিত্যোয়ং বিধিঃ । তপসা মনসা বাগভিঃ পূজিতা বলিকৰ্ম্মভিঃ। তুষ্যন্তি শমিনাং নিত্যং দেবতা; কিং বিচারিতৈঃ ॥ ما لاج
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/১২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।