পালিত হইয়াছিল, এবং তাহার হস্ত হইতে সেই গল্পৰ এহার্ধ যে লোলুপ হইত সেই করি শাবক বধূর সহিত জল-কেলি করিতেছে, यमन সময়ে অন্ত এক উচ্ছ,খল দ্বিরদপতিদ্বারা সমাক্রান্ত হইয়াছে। রামও পঞ্চবটী প্রবেশমাত্র যে মোহগ্ৰস্ত হইয়াছিলেন, সেই মোহের অপগমে অবিকল ঐ স্বর ও ঐ কথা অর্থাৎ “প্রমাদঃ প্রমাদঃ—“সীতাদেব্যাঃ” ইত্যাদি শুনিতে পাইলেন। o যৎকিঞ্চিৎমাত্র অনুধাবন করিলেই বুঝা যাইবে যে, চুই বিভিন্ন সময়ে বাসস্তী ঐ কথাগুলি কহিয়াছিলেন, এরূপ ভাব ব্যক্ত করা কবির অভিপ্রেত হইতে পারে না। কারণ ঐ প্রকার উক্তি নিতান্ত উৎকণ্ঠ এবং আগ্রহের ব্যঞ্জক। ঐরুপ কথা স্বভাৰতাই অনন্তরভাবে উপযুপিরি উচ্চরিত হইয়। থাকে। কেহ কাহাকেও মারিতেছে বা মারিতে যাইতেছে দেখিয়া উৎকণ্ঠ এবং আগ্রহ নিবন্ধন লোকে "মারিলে রে মারিলে রে’ বলিয়া চীৎকার করিয়া উঠে। এক বার মাত্র “মাপ্লিলে রে” বলিয়া, তাহার দওৈক পরে পুনৰ্ব্বার “মারিলে রে” বলে না। অতএব বাসন্তীর “প্রমাদঃ প্রমাদঃ সীতাদেব্যাঃ” প্রভৃতি নাটকের দুই স্থানে যে দুই বারের উক্তি আছে, তাহার মধ্যে কালাত্যয় হইয়াছিল, ইহা মনে করা ভ্ৰম । কবি নিজেও পাছে পাঠকের ঐ ভ্রম হয় তাহার সম্যক প্রতিবিধান করিয়াছেন। তিনি প্রথমতঃ দেখাইয়াছেন যে, সীতা পঞ্চবটীর যে স্থানে, রামও পঞ্চবটীর সেই স্থানে ছিলেন। সীতা রামের কথা শুনিতে এবং রামকে দেখিতে পাইতেছিলেন। আবার তাহ অপেক্ষাও যেন স্পষ্ট করিয়া বুঝাইবার নিমিত্ত কবি সীতাদেবীর মুখ দিয়াই বলিয়া দিয়াছেন যে, বাসস্তীর ঐ দুই বারের উক্তির মধ্যে কিছুমাত্র কালাতিপাত হয় নাই—প্ৰত্যুত উহা একবারেরই উক্তি. এরূপ বিবেচনা করিতে হইবে। সীতা যখন বাসস্তীর উক্তি প্রথম শ্রবণ করিয়াছিলেন, তখন সেই পুত্রবৎ পালিত করি-শাবকের প্রতি বিপৎপাত আশঙ্কায় একান্ত বিহবলা হইয়া বলেন— অৰ্জ্জ উদ্ভ পরিত্তাহি পরিম্ভ:হুি মম তং পুত্ত অং। হন্ধী ইন্ধী তাই একব
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।