বিবিধ প্রবন্ধ । S. গুনিয়াছি তপস্যাকারী শূদ্রকের প্রতি দণ্ডদানার্থ ইক্ষাকুবংশীয় রাজা জনস্থানে আগত হইয়াছেন। ” এস্থলে তাহদের জিজ্ঞান্ত এই, তমসার ইঙ্কাকুবংশীয় রাজা বলিয়া রামের নির্দেশ করার কারণ কি হইতে পারে? যাহার নাম করিলে কাহারও শোক দুঃখ প্রভৃতি মনোবিকার প্রচীয়মান হইয়া উঠে তাহার সমক্ষে লোকে স্পষ্ট করিয়া তীয় নাম উচ্চারণ করে না, প্রয়োজন হইলেs যথাসম্ভব ঘুরাইয়াই বলিয়া থাকে। তমসা সেই জন্তই ইক্ষাকুবংশীয় রাজা বলিয়া রামের নির্দেশ করিয়াছিলেন। কিন্তু সীতা যদি পূৰ্ব্বেই আত্মীয়তাসুচক “আৰ্য্যপুত্র” বলিয়া রামের নির্দেশ করিয়া থাকেন, তবে তমসার ঐরূপ ঘোর ফের করিয়া বলা সুসঙ্গত হয় না। র্তাহার এ কথাও বলিয়া থাকেন। উহার পরেই সীতাও বলিয়াছিলেন – “পিটিআ অপরিহীণরাঅধৰ্ম্মে কৃথু সে রাজা ।” ভাগাক্ৰমে সেই রাজার রাজধৰ্ম্মপালনের ব্যতিক্রম হয় নাই। তাহাদিগের বিবেচনায় এ স্থলে রামকে রাজা বলিয়া নির্দেশ করা অবশুই আন্তরিক অভিমানব্যঞ্জক ; সুতরাং প্রথমে তাহার প্রতি আৰ্য্যপুত্র সম্বোধন অসঙ্গত। -কিন্তু আমাদিগের বিবেচনায় কবির রচনাই সমীচীন হইয়াছে। সীতার মনোমধ্যে যতই অভিমান থাকুক, রামের প্রতি সে অভিমান কখনই স্বতঃ ব্যক্ত হয় না। অষ্ঠের কথায় তাদৃশ অভিমানের হেতু উদ্বোধ ব্যতিরেকে তিনি নিয়তই রামগ্ৰেমমুগ্ধ হইয়া থাকেন। . অতএব যখন প্রথমে রামের কণ্ঠস্বর গুনিয় তাহাকে চিনিলেন, আমনি প্রিয় সম্ভাষণ করিয়া ফেলিলেন । যাহাদের ওরূপ কোমলপ্রকৃতি অপরে তাহাদিগের হইয়াই ক্রোধ প্রকাশ করিয়া থাকে, এই জন্তই তমসার অপ্রণয়ব্যঞ্জক “ ঐক্ষাকে রাজা ’ এবং তাছার পর সীতার নিজের উক্তিতে ‘রাআ’। ভবভূতি সীতার প্রকৃতি কেমন মুস্পষ্টরূপে অনুভব করিয়াছিলেন, তাই ভাবিতে গেলে আশ্চর্যাম্বিত হইতে হয়। সপ্তম অঙ্কে সীতার ঐ ভাব অধিকতর সুব্যক্ত হইয়াছে। তিনি অরণ্যে পরিত্যক্ত
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।