বিবিধ প্রবন্ধ । >હ হৃদয়ের রূপক কল্পনার প্রয়াস পাইয়াছিলেন, এবং প্রথমে নদী তমসার “আমি জানি, “আমি জানি” এইবীপসাত্মক যাক্যে তাহার স্বচনাও করিয়াছেন। সীতা জিজ্ঞাসা করিলেন, আমার মনে এ কি ভাব হইল জানিতে পারিতেছি না। তমসা বলিলেন, বাছা তুমি জান না, কিন্তু আমি ইহার ভূক্তভোগী—আমি জানি। অাৰীতে দীর্ঘ কালের পর বর্ষাগম, এবং পৰ্ব্বতস্থ নীহারসংঘাত দ্রবীভূত হইলে ঐক্কপ “হড়ক বাণ” আসিয়া থাকে। তমসা যে নদী, তাহ কবি নিজে ত ভুলেনই নাই, পাঠককেও ভুলিতে দিলেন না । ভবভূতি আরও একটা কথা পাঠকের হৃদগত করাইতে বিস্তৃত হন নাই। নদী তমসা যেমন আপনার সাদৃতে সীতার তাৎকালিক অবস্থা বুঝাইয়া দিলেন, রামও সেই সময়ে স্বমুখে তাহার নিজের কি হইয়াছে বলিলেন । তিনি সীতাদর্শমচেষ্টায় অকৃতকাৰ্য্য হইয়া প্রথমতঃ বলেন— প্রসাদ ইব মূৰ্ত্তস্তে স্পর্শঃ স্নেহার্জশীতল । অদ্যাপ্যেবাদ্ৰয়তি মাং ত্বং পুনঃ কাসি নন্দিনি ॥ তোমার মূৰ্ত্তিমান প্রসাদস্বরূপ স্নেহার্ক্স শীতল স্পর্শ এখনও আমাকে আৰ্দ্ৰ করিতেছেন, কিন্তু হে আনন্দিনি! তুমি কোথায় ? সীতা রামের ঐ কথা শুনিয়া বলিলেন,— এদে কুখু দে অগাধদংসিদপিণেইসম্ভার আনন্দণিসসন্দিণে স্বদা মএ অজউত্তসস উন্নাবা জাশং পচ্চএণ শিক্ষাকরণপরিচ্চাঅসল্লিদো বি ৰহমদে। মে জন্মলাহো । আমি আৰ্য্যপুত্রের অগাধস্নেহসন্থত আনননিস্তন্দী যে সকল বিলাপ শ্রবণ করিলাম, তস্থার অকারণপরিত্যাগজনিত শল্যে বিদ্ধ হইলেও আমার জন্মলাভ সার্থক বিৰেচনা করিলাম। -- আর অভিমান নাই—অকারণ পরিত্যাগজনিত শল্যবিদ্ধ হইলেও আপনার জন্মলাভ সার্থক মানিলেন। ইহার পর রাম বলিলেন,— অথবা কুতঃ প্রিয়তমা! লুনং সন্ধয়াভ্যাস পার্টবোৎপাদ এষ রামভদ্রস্য ভ্ৰমঃ।
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।