* > \b বিবিধ প্রবন্ধ। অথবা প্রিয়তম কোথায় ? ইছ রামের কল্পনাভ্যাসপটুতাজনিত ভ্রম। অর্থাৎ কবি রামের মুখ দিয়াই বলিলেন যে, এই সমস্ত ব্যাপার রামের ভ্রম মাত্র, ইহার পরেই বাসন্তীর সেই উৎকষ্ঠোক্তি “প্রমাদঃ প্রমাদঃ সীতা দেব্যা” ইত্যাদি ।
- ستتسبست شمسيسه
- ( ৩ ) তৃতীয়াঙ্কে বনদেবী বাসন্তীর প্রথমোচ্চরিত “প্রমাদঃ প্রমাদঃ” এই স্থল হইতে দ্বিতীয়েfচ্চসিতবৎ প্রতীয়মান “প্রমাদঃ প্রমাদঃ” পৰ্য্যন্ত যে ঘটনাবলী বর্ণিত আছে, তৎসমস্ত ক্ষণকালমাত্রেই নিৰ্ব্বাহিত, ইহা বুঝা গিয়াছে ; এবং উপসংহারে কবিও রামের মুখ দিয়া বলিয়া দিয়াছেন যে, ছায়াময়ী সীতাকর্তৃক রামের অঙ্গস্পর্শ রামেরই ভ্ৰমমাত্র। কিন্তু কিঞ্চিৎ অনুধাবন করিয়া দেখিলেই তৃতীয় অঙ্কের ঐ ভাগটর সহিত সমুদায় তৃতীয়াঙ্কের একটা অতি বিচিত্র সম্বন্ধ উপলব্ধ হয়। যেমন অঙ্গ প্রত্যঙ্গসমেত প্রকাও বনস্পতি তাহার পত্রৈক মধ্যে প্রতিভাত থাকে, যেমন এই ক্ষুদ্র পৃথিবী স্থৰুহৎ সৌর জগতেরই অনুরূপ, এবং যেমন বিস্তৃত রামায়ণাণি পুরাণ তত্ত্বৎ পুরাণের অন্তর্নিবিষ্ট সংক্ষিপ্ত অংশেরই বিস্তৃতিমাত্র, সেইরূপ তৃতীয়াঙ্কের এই ভাগটা সমুদায় তৃতীয়ান্ধেরই প্রতিরূপস্বরূপ। পাঠক দেখিবেন যে, সমুদায় তৃতীয়াঙ্কে যে যে কথা আছে, তৎসমুদায় এই ভাগের বিস্তৃতি বই আর কিছুই নহে। রাম যে পঞ্চবটীবনে সীতার সহিত পূৰ্ব্বে বাস করিয়াছিলেন, সেই বনের পূৰ্ব্বপরিচিত মৃগ, পক্ষী, স্থানসন্নিবেশাদি, বিশেষতঃ সীতার পুত্রীকৃত করিশাবক, ময়ুর, মৃগ, কদম্ববৃক্ষাদি, এবং তঁাহাদের অধুৰিত সেই সেই শয়নীয় শিলাতল এবং লতাগৃহাদি দর্শনে সীতাবিরহশোক রামের অন্তঃকরণে প্রদীপ্ত হইয় উঠে, তাহার একান্ত স্নানভাব লক্ষিত হয়, তিনি অম্বতাপে মুগ্ধ হন, এবং সেই মোহে প্রসন্নছদয়া সীতারু অম্বুগ্রহস্পৰ্শলাভ কঠিয়াছেন মনে করেন, এবং তাহার সেই অনুতাপদগ্ধ হৃদয়মধ্যে