विविश्व क्वेसिक्क । సి. রূপে গাত্র ধৌত করিয়া দিয়া লেকাবসানে অবক্রনীল নলিনী-পত্র জাত.পূত্ররূপে ধারণ করিতেছে। * - কাব্যে এমন অনেক স্থল থাকে, যেখানে কিছু বলা অপেক্ষ কিছু না বলায় বা অল্পমাত্র বলায় অধিকতর ভাব ব্যক্ত হয়। এইটা সেইরূপ একটা স্থল। করিকরভের কান্তানুবৃত্তিদর্শনে রামের বিরহ উপলক্ষ করিয়া কত কথাই বলা যাইতে পারিত। কিন্তু ভবভূতি সীতার উক্তিতে করিণীর সহিত “অবিযুক্ত থাকুক, করিকরভের প্রতি এই আশীৰ্ব্বচন প্রয়োগ- ভিন্ন আর কিছুই বলেন নাই। তাহাতেই অন্তে যাহা কিছু বলিতে পারিত, তাহ সমুদয় বলা হইয়াছে—আর অন্তে যাহা বলিতে পারিত না, এমন একটু বিশেষ কথাও বলা হইয়াছে। বিবেচক পাঠক অবশ্যই ভাবিবেন যে, স্বয়ং বিরহিণী সীতা আশীৰ্ব্বচন মুখ্যতঃ বধুর প্রতি প্রয়োগ না করায় কবি কি দেখাইবার চেষ্টা করিলেন— তিনি সীতার হৃদয়ে নিজের দুঃখাস্তুভৰ অপেক্ষ রামের সহিত অধিক তর সহানুভূতি প্রকাশ করিলেন, না ছায়াময়ীর মুখদিয়া রামেরই আর একটী কষ্ঠোক্তি ব্যক্ত করিলেন ? - - ভবভূতি এ স্থলে যে সকল ভাব অব্যক্ত রাখিলেন এবং পাঠকের } নিজের শক্তির উপর অনুভব করিবার অধিকার দিলেন, তাহ বুঝিবার জন্য চেষ্টা না করিয়া থাকিবার বো নাই। কবি রামের পূৰ্ব্বগত দুইটী উক্তিতে স্পষ্টই দেখাইয়া দিয়াছেন যে, সীতার মনে যে ভাব সমুদিত হইভেছে, রামের মনেও সেই সেই ভাব উঠিতেছে। কবি ইহাও দেখাইয়া দিয়াছেন যে, ঐ সময়ে রামের মানস চক্ষে সীতা প্রত্যক্ষবৎ উপস্থিত হইয়াছেন। কিন্তু কবি এই পর্য্যন্ত করিয়াই কিয়ৎক্ষণ রামের মুখ দিয়া আর কোন কথা বাহির করিলেন. না, তাহাকে একবারে নীরব করিয়া রাখিলেন। রাম আর বহিঃস্থ বনদেবীকে সম্বোধন করিয়া কিম্বা অন্তরস্থ সীতামূৰ্ত্তিকে উদ্দেশ করিয়া একটা কথাও বলিলেন না। তাদৃশভাবাপন্ন রামকে তাদৃশ বাকৃশুম্ভ করিয়া রাখায়
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।