বিবিধ প্রবন্ধ। (: যখন কান্ত তোমার সমম্ভিব্যাহারে ছিল, তখনকার সেই এই কদলীবনমধ্যবৰ্ত্তা তোমার শয়নীয় শিলাতল ; এই খানে খাকিয়া সীতা এই সকল হরিণকে বহুবার তৃণ প্রদান করিয়াছিলেন, সেই প্রযুক্ত ইহার এ স্থান পরিত্যাগ করিতে পারে মা। রাম পূৰ্ব্বে সীতাসহ যে শিলাতলে শয়ান হইতেন, তথায় আর তিষ্ঠিতে পারিলেন না। তাহ দেখাও র্তাহার পক্ষে কষ্টকর হইল। তিনি কাদিতে কাদিতে অন্যত্র গিল্প "সিলেন, এবং নিস্তন্ধ হইয়া রছিলেন। ঐ নিস্তন্ধাবস্থায় রামের মনে কিরূপ ভাবনা উদিত হইতে পারে ? তিনি হয় ত এরূপ ভাবিতেছিলেন যে, ইহা সেই পঞ্চবটীবন, এখানকার এই মৃগ পক্ষী বৃক্ষাদি পূৰ্ব্বে কতই জানন্দ উৎপাদন করিত, এক্ষণে এ গুলি কেবল ক্লেশের কারণ হইতেছে। সেই সব থাকিতেও যেন কিছুই নাই । জীবলোকের কি উৎকট পরিবর্ত ! কবি সীতার মুখ দিয়া ঐরূপ ভাবই ব্যক্ত করিলেন। ছায়াময়ী বলিলেন,-- হন্ধী হন্ধী সো এবব অজ্জউত্তে তং এধ্ব পঞ্চবটীবনং সা এবব পিঅসহী বাসস্তী তে এক বিবিহীসম্ভসাক্খিণে গোদাবরীকাণণুদেস। তে এবব জাদণিবিবসেসা মঅপকৃথিপাদবা মম উণ মন্দভাইণীএ দীসমাণং বি সবং এবব এবং লখি , তা এরিসো জীঅলোঅসস পরিবত্তো। হা ধিক্, হা ধিক্ সেই এই আৰ্য্যপুত্র, সেই এই পঞ্চবটীবন, সেই এই প্রিয়সখী বাসস্তী, আমাদের বিবিধৰিশ্রম্ভ সাক্ষী সেই এই সকল গোদাবরা কাননপ্রদেশ, স্থতনিৰ্ব্বিশেষে, পালিত সেই এই সব মৃগ পক্ষী পাদপ রহিয়াছে, কিন্তু এগুলি মন্দভাগিনী আমার দৃশ্যমান হইয়াও এক্ষণে যেন সে সব এ কিছুই নয় বোধ হইতেছে। অতএব জীবলোকের এই প্রকারই পরিবর্ত ! - : রাম নিস্তন্ধ—জীবলোকের উৎকট পরিবর্ত এবং আপনার মানসিক ভাবের পরিবর্ত চিন্তা করিতে করিতে নিজের শরীরে যে সকল পরিবর্ত
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।