বিবিধ প্রবন্ধ । 8 ○ আবার যখন সপ্তমান্ধে সপুত্রা শকুন্তলা হয়ন্তের সন্মুখবৰ্ত্তিলী, এবং পুত্র জিজ্ঞাসা করিল মুম্ব কে এসো— মা ! কে এ ? ' তখন শকুন্তলা উত্তর করিলেন— ভাঅধেআইং পুচ্ছ । ভাগ্যকে জিজ্ঞাসা কর। উত্তরটা বড় চমৎকার-জনক । চমৎকার-জনক এই জন্য যে কবি শকুন্তলার মনের ভাব যেরূপ করিয়া তুলিয়াছেন, তাহাতে ঐ প্রকার কথা অপেক্ষা অধিক সুসঙ্গত অপর কোন কথা মনেই আনিতে পারা যায় না । কিন্তু শকুন্তলার মনের ভাবটী কেমন ? ঐ মনটী স্বতঃই প্রেমে গদগদ, অতি নম্র ; কিন্তু উহা হইতে পরিত্যাগছঃখ এবং অপমানলজ্জা অপনীত হয় নাই। কবিকে এই জন্যই দুষ্মন্তকে দিয়া শকুন্তলার পায়ে ধরাইতে হইল। যথা— স্বতন্তু হৃদয়াৎ প্রত্যাদেশব্যলীক মপৈতুতে কিমপি মনসঃ সম্মোহো মে তদা বলবানভুত । প্রবলতমসামেবং প্রায়াঃ শুভেষু হি বৃত্তয়ঃ অজমপি শিরস্যন্ধঃ ক্ষিপ্তাং ধুনোত্য হি শঙ্কয়া ॥ ইতি পাদয়োঃ পতত্তি । হে মুগাত্রি । হৃদয় হইতে প্রত্যাখ্যানহুঃখ দূর কর। কি জন্য জানি ন, তখন আমার মনে প্রবল মোহ জন্মিয়াছিল। মোহান্ধ লোকদিগের শুভ বিষয়েও এই রূপ আচরণ হইয়া থাকে। অন্ধ ব্যক্তির মস্তকে পুষ্পমালা নিক্ষেপ করিলেও সে সর্পাশঙ্কায় ফেলিয়া দেয়। এই বলিয়া চরণে পতিত হইলেন। ** কিন্তু ইহাতেও হইল না। কবি দুৰ্ব্বাসার শাপপ্রভাবেই যে দুষ্মস্তের
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।