উত্তর চল্পিত । 'Nلاو পুনৰ্ম্মিলন হয়, এরূপ ইচ্ছায়ুক্ত হইয়াছে। তমলা স্কার রামকে ঐক্ষাক রাজা বা ‘জগৎপতি’ বলেন না। বাসস্ত্রীও অনেকক্ষণ হইতে ‘মহারাজ” ‘দারুণ’ ‘কঠোর প্রভৃতি অপ্রণয় বা নিন্দীব্যঞ্জক সম্বোধন প্রয়োগ করা ছাড়িয়া দিয়াছেন। রামের প্রতি অতিরিক্ত হৃদয়াসক্তি নিবন্ধন ছায়াময়ীর মুখ দিয়া আর লক্ষাব্যঞ্জক উক্তি বাহির হয় না। কিন্তু ভবভূতির সমীচীন বিবেচনায় আরও একটু বাকি ছিল। তিনি মনে করিয়া থাকিবেন যে, রাম, সীতার উদ্ধারের জন্য সমুদ্রবন্ধন এবং রাবণ বিজয় প্রভৃতি যে সকল অবদানপরম্পরা সাধন করিয়ছিলেন, তাহা অবিমিশ্ররূপে সীতার গৌরৰখ্যাপন করে না। ঐ সকল কাৰ্য্যে সীতার উদ্ধার হইয়াছিল বটে, এবং ঐ সকল কাৰ্য্য সীতার জন্তই বটে, কিন্তু তদ্বারা বৈরনিৰ্য্যাতন, কুলগৌরব রক্ষা, বীরত্ব প্রকাশ, ত্রিলোকের আধিপভ্যলাভ প্রভৃত্তি অদ্যান্ত প্রয়োজনও সংসাধিত হইয়াছিল। অতএব যাহাতে সীতার বিশুদ্ধ আত্ম-গৌরবই জাজ্জ্বল্যমানরূপে প্রকাশ পায় পায়, সেরূপ কোন ব্যাপারের অবতারণা করা আবশ্যক । কবি এক্ষণে তাছা করিতে চলিলেন, এবং সেই জাজ্জল্যমান দীপ্তির সহিত কোন কোন প্রণয়ক্ষেত্রে যে একটি কালিমময় ছায়া পড়িয়া থাকে, সেই ছায়াটুকুও ধরিয়া দেখাইয়া দিলেন। রাম বনদেবীর স্থানে বিদায় প্রার্থনা পূৰ্ব্বক বলিলেন— অস্তি চেদানী মশ্বমেধায় সহধৰ্ম্মচারিণী মে— এক্ষণে অশ্বমেধের নিমিত্ত আমার সহধৰ্ম্মচারিণী আছেন । রামের মুখে ওরূপ কথা শুনিলে প্রকৃত সীতার ষে ভাব হইতে পারে রাম হৃদয়বাসিনী ছায়াময়ীরও তাহাই হইল। ছায়াময়ী কঁাপিয়া উঠিলেন এবং জিজ্ঞাসা করিলেন- - উজ্জউক্ত কা সা.? আর্য্যপুত্র কে সে ? এই ভাবটি প্রেমগৌরবে গৌরবাস্থিত সৌভাগ্যবর্তীদিগের হৃদয়ের তামসী নিশা'। যখন যখন তাহারা এই অন্ধকারে পড়েন, তখন তাহা
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।