পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২ বিবিধ প্রবন্ধ । দিগের ছৎকম্প উপস্থিত হয়—আর জ্ঞান থাকে না। র্যাহারা বিশেষ না জানেন তাহারা বলেন যে, প্রণয়ক্ষেত্রমাত্রেই এই ছায়া পড়িয়া_ থাকে । কিন্তু ভবভূতি জানিতেনযে তাহা নহে। এই ছায়া প্রেমের সৌভাগ্য ক্ষেত্রেই পতিত হয়। যেখানে সোহাগ অধিক এরূপ ঈর্ষা সেই খানেই দেখা দেয়। যদি সীতা পূৰ্ব্বেই রামের সোহাগে আপনাকে সৌভাগ্যবতী বলিয়া না মনে করিতেন, যদি পূৰ্ব্বেই বহুমন্নাবিদহ্মি’ না বলিতেন, তবে এখানকার ‘অজ্জউত্ত কী সা’ কথাটি তেমন অতি স্বসঙ্গত হইত না । রাম বলিলেন— - হিরন্ময়ী সীতাপ্রতিকৃতিঃ সীতার সুবর্ণময়ী প্রতিমূৰ্ত্তি। ভবভূক্তি বর্ণন করিলেন যে, রামের এই কথায় অমনি ছায়াময়ীর সমুদার হৃদয়কোষ শূন্য করিয়া যেমন একটা দীর্ঘ নিশ্বাস পড়িল এবং চক্ষু হইতে দরদরিত ধারায় আনন্দাশ্র বিগলিত হইতে লাগিল। তিনি বলিলেন— অজ্জউত্তো দাণিং সি তুমং । অন্মহে উক্‌খাণিতং মে দাণিং পরিচ্চাঅলজ্জাসল্লং অজ্জউত্তেণ। - এক্ষণে তুমি আৰ্য্যপুত্র। অহে জাৰ্য্যপুত্র এক্ষণে আমার পরিত্যাগজনিত লজ্জাশল্য উদ্ধার করিলেন। এই এত ক্ষণে —অর্থাৎ রাজসভামধ্যে প্রকাগুরূপে সীতার স্বর্ণময়ী প্রতিকৃতি সংস্থাপিত হওয়াতে লজ্জাশল্য সমূলে উৎখাত হইল। রাম বলিতে লাগিলেন— - তত্ৰাপি তাবৎবাষ্পদিগ্ধং চক্ষুবিনোদয়ামি। তাহাকে দেখিয়াই এক একবার বাষ্পকলুষিত চক্ষুকে বিনোদিত করি। কৰি ছায়াময়ীকে দিয়া বলাইলেন— ধঃ সাজা অজ্জউত্তেণ বকু মণাইঅদি, জাঅ অজ্ঞউত্তং বিণোদঅন্তী আসাণিবন্ধণং জাদ জীঅলোঅক্ষস । - -