রত্নৰী । ৬৭ ( ૨ ) ; বিদ্যালগল্প মহাশয় বলিয়াছেন যে, শকুন্তলা এবং উত্তর চরিতের পরেই রঞ্জাবলীর নাম নির্দেশ হইতে পারে। তাহার এই কথাটা দ্বারা উক্ত দৃশ্য কাব্যতিবেঙ্গ অগ্রপশ্চাত্ত্বাবে বিনিবেশ উপলব্ধ হয়। কিন্তু অগ্র পশ্চাৎ, উচ্চ নীচ প্রভৃতি শার বহুদিগের আপেক্ষিক উৎকর্ষ এবং অপকর্ষ বুৰাইবার চেষ্টা করিলে সেই সেই ভাবের প্রকৃত অববোধ অনেক স্থলে বিলক্ষণ ভ্রমসম্বুল হুইবার সম্ভাবনা । গুণ, রস বা সৌন্দধ্যাদি বিষয়ক জটিল ভাব লম্বন্ধে, কি বিধাতৃস্থই পদার্থে, কি কদম্বুকারী কবিস্তুষ্ট কাব্যে, ঐরূপ অগ্র পশ্চাৎ, উচ্চ নীচ প্রভৃতি রূপ রেখাঙ্কপাত দ্বারা পৰ্য্যায়ক্রম কুন্ত্ৰাপি দৃষ্ট হয় না। জগতের সকল বস্তুরই স্ব স্ব গুণধৰ্ম্মে বিশিষ্টতা আছে। একের সমুদায় গুণ অন্য কিছুতেই ব্যাপ্যভাবে মাই। সুতরাং পরস্পর ব্যাপ্য-ব্যাপকতা-সম্বন্ধৰিহীন বস্তুদিগকে স্ব স্ব প্রধানই বলা যাইতে পারে। তবে রুচিভেদে যে ব্যক্তির মম যে গুণের পক্ষপাতী, তিৰি সেই গুণের তারতম্যানুসারে বস্তুদিগের অগ্রপশ্চাৎ ক্রম অনুমান করিয়া লয়েন, এবং যদি তিনি সাহিত্য সংসারের ব্যবস্থাপক হুয়েন, তবে তত্ত্বত সিদ্ধান্তই ব্যবস্থাস্বরূপে প্রচলিত হইয়া যায় । , ہے۔* বস্তুতঃ উত্তর চরিত, শকুন্তলা, এবং রত্নাবলী এই তিনট দৃশুকাব্য পরম্পর বিভিন্ন প্রকৃতিক। তিনটী তিন প্রকারে প্রধান। উত্তরচরিত গাম্ভীর্য্যে, শকুন্তলা বৈচিত্রো, এবং রত্নাবলী পারিপাট্যে। সংস্কৃত কাব্যোদ্যানে তিনটাই বিকলিত কুসুম। কিন্তু তিনটিই এক জাতীয় কুসুম নহে। উহাদের মধ্যে একটা পদ্ম, একটা গোলাপ, এবং একটা নবমরিক পদ্মট গভীর সরসীর নিৰ্ম্মল জলে অধিষ্ঠান করে, আপনার স্বচ্ছকাস্তির ছায়ায় আপনিই হাসে, দেবদেরীর হাতে উঠে, এবং জগদ্বিধাত্রী ভগবতীর চরণে সৰ্ব্বাপেক্ষ সমধিক শোভা পায়। গোলাপট
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।