b”o বিৱিধ প্রবন্ধ । করিয়াই স্ব স্ব নাটকের নান্দীরচনা করিয়া গিয়াছিলেন। অলঙ্কার-শাস্ত্রের প্রাদুর্ভাবে যে কবিত্বের হানি হয়, এই ব্যাপার তাস্থারই অন্যতম উদাহরণ। কিন্তু এস্থলে বলিতে হইবে যে, আৰ্য ক্ষেমীশ্বরের চণ্ডকৌশিক নাটক যদিও অন্যান্য অনেক সংস্কৃত নাটক অপেক্ষ নিকৃষ্ট, তথাপি উহার নান্দীতে নাটকীয় উপাখ্যান ভাগের গুঢ়রূপে যৎকিঞ্চিৎ আভাস প্রদান দেখিতে পাওয়া যায়। : ( و ) রত্নাবলীর নান্দী এবং প্রস্তাবনা ষে সমীচীন কৌশলসম্পন্ন, তাহা নাগানন্দ এবং অন্যান্য নাটকের সহিত তুলনাপূৰ্ব্বক সুস্পষ্টরূপে প্রদর্শিত হইয়াছে । এক্ষণে নাটকীয় প্রকৃত বিষয়ের অনুসরণ করা যাউক । নাগানন্দের প্রথমেই একেবারে নায়ক জীমূতবাহনের রঙ্গস্থলে প্রবেশ ; তিনি স্বীয় বয়স্য আত্রেয়কে আন্তরিক নিৰ্ব্বেদ সহকারে এই শ্লোকটী শুনাইলেন— রাগস্যাম্পদমিতাবৈমি, নহি মে ধ্বংসীতি ন প্রত্যয়ঃ, কৃত্যাকৃত্যবিচারণস্থ বিমুখং কে বা ন বেত্তি ক্ষির্তেী । এবং নিন্দ্যমপীদমীপ্তিতফলপ্ৰাপ্ত্যৈ ভবে যৌবনং ভক্ত্যা যাতি যদীত্থমেব পিতরেী শুশ্রষমাণস্য মে। যৌবন সংসারাসক্তির আস্পদ, ইহা অামি জানি, এবং ইহা যে বিধ্বংসশীল নয়, তাহাও আমার পেত্যয় নয়, আর এই কাল যে কৰ্ত্তব্যাকর্তব্য বিচারবিমুখ, তাহাও পৃথিবীতে কে না জানে, কিন্তু যৌবন এমন নিন্দনীয় হইয়াও যদি আমাকর্তৃক পিতা মাতার শুশ্রুষায় নিয়োজিত হয়, তবে অবশ্যই ইহা অভীপিত ফলপ্রাপ্তির পক্ষে অনুকুল হইবে।
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।