| } রত্নাবলী । b Q রাজীর পরিচারিকার রাজাকে বলিল যে রাজ্ঞী বাসবদত্ত অন্তঃপুরোদ্যানের অশোকবৃক্ষ মূলে মদনদেবের পূজা করিবেন, মহারাজাকে তথায় উপস্থিত হইবার নিমিত্ত আজ্ঞা করিয়াছেন। আজ্ঞা করিয়াছেন, বলিয়াই দাসী যেন একটু জীব কাটিল, তাড়াতাড়ি বলিল প্রার্থনা করিয়াছেন । রাজসহচর বলিয়া উঠিল “বেটী দাসীপুত্রি ! তোর এত বড় স্পৰ্দ্ধা—মহারাজাকে আজ্ঞা করিয়াছেন বলিস রাজা মধাস্থত । করিলেন—বলিলেন ‘তাঁহাতে দোষ নাই, রাক্কী আজ্ঞা করিয়াছেন বলাই ঠিক কথা ;-বিশেষতঃ আজি মদন মহোৎসব, আজি ত তিনি আমাকে ੋਬਿ। করিয়াই পাঠাইবেন । বেশ রসিকতা হইল সন্দেহ নাই। কিন্তু আমরা বলি ঐ “বিশেষতঃ” টুকু দ্বারা রাজা যেন আপনার সন্ত্রমের দিকে কিঞ্চিৎ দৃষ্টিপাত করিলেন এবং তাহ করাতে রসিকতারও কিছু ক্রট করিয়া ফেলিলেন। কিন্তু রাজা উদয়নত খুব রসিক পুরুষ। তবে কবি, কি ইচ্ছা পূর্বকই তাহার রসিকতার একটু দোষ দেখাইলেন এবং তাহ দেখাইয়া জানাইলেন যে রাজ্ঞীর প্রতি উদয়নের যে প্রেমভাব তাহ পূর্ণমাত্রায় নহুে—ঐ প্রেমে একটু ভয়ের ভাগ আছে, এবং তাহা আছে বলিয়াই রাজার মনে আপনার সন্ত্রম বজায় রাখিবার একটু গুঢ় ইচ্ছাও আছে। যদি তাহা হয়, অর্থাৎ রাজ্ঞী রাসবদত্তার প্রতি রাজা উদয়নের প্রেম কতকটা ভয়-ভক্তি-মূলক হয়, তবে কবি এই প্রারম্ভেই যে প্রকার অবলম্বন করিয়া তাহার স্বচনা করিলেন সে কৌশল, মানবচিত্তাভিজ্ঞ কোন মহাকবির অযোগ্য বলা যায় না। সহচর বসন্তকের সহিত রাজা অন্তঃপুরোদ্যানে গমন করিলেন। দেখিলেন রাজ্ঞী আসিয়াছেন, অমনি রয়স্য বসন্তককে রাজীর মূৰ্ত্তি বর্ণন করিয়া বলিলেন— কুম্নমস্ককুমারমূৰ্ত্তিৰ্দধতী নিয়মেস নমুতরং মধ্যং। আতাত্তি মকরকেতোঃ পাশ্বস্থ চাপযষ্টিরিব । কুমুমের স্থার স্বকোমল মূৰ্ত্তি দেবী উপবালাদি দ্বারা কৃশতর মধ্য ধারণ করত মক্রকেতুর পার্শ্বস্থ্যষ্টির ষ্ঠায় প্রকাশ পাইতেছেন।
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) প্রথম ভাগ.djvu/৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।