পাতা:বিবিধ প্রসঙ্গ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বধিরতার সুখ।
৬৫

এলিয়ট্ দৃষ্টান্ত স্বরূপে কাঠবিড়ালীর হৃদয় স্পন্দন ও তৃণ-উদ্ভেদের শব্দ উল্লেখ করিয়াছেন, কিন্তু আমরা যদি নিজের দেহের ক্ষীণতম হৃদয় স্পন্দন, নিঃশ্বাস প্রশ্বাস পতন, রক্ত চলাচলের শব্দ, নখ ও কেশ বৃদ্ধি, এবং বয়োবৃদ্ধি সহকারে দেহায়তন বৃদ্ধির শব্দটুকুও অনবরত শুনিতে পাইতাম, তবে আমাদের কি দশাই হইত। যখন আমরা প্রাণ খুলিয়া হাসিতেছি, তখনো আমাদের হৃদয়ের মর্ম্ম স্থলে অতি প্রছন্ন ভাবে বসিয়া যে একটি বিষাদ, একটি অভাব নিঃশ্বাস ফেলিতেছে, তাহা যদি শুনিতে পাইতাম, তবে কি আর হাসি বাহির হইত? যখন আমরা দান করিতেছি, ও সেই সঙ্গে “নিস্বার্থ পরেপকার করিতেছি” মনে করিয়া মনে মনে অতুল আনন্দ উপভোগ করিতেছি, তখন যদি আমরা আমাদের সেই পরোপচিকীর্ষার অতি প্রচ্ছন্ন অন্ত-