পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

or 嗜 বিবিধ বিধান । ill-wall উপন্যাসাদির পাঠ দ্বারা, কল্পনা শক্তির আলোচনা হয় এবং তদ্বারা তাহার তেজস্বিতার বৃদ্ধি হয়” ( গোপাল বাবু) চিন্তা ও বিচার -দুই বা বহু বিষয়ের তুলনা করিয়া তাহাদিগের গুণাগুণ প্ৰভৃতি নিৰ্ণয় করাকে বিচা র বলে। আর সেই বিচার করিয়া যে সাধারণ জ্ঞান লাভ হয়, তাহাই সিদ্ধান্ত । ভালমন্দ বিচারের শক্তি অতি শৈশব্যাবস্থা হইতেই বিকশিত হয় । “এ সন্দেশটা ছোট-এটা চাইনা। ঐটা চাই ; এ খেলান চাইনা, ঐ ভালটা”-ইত্যাদি বিচারের শক্তি, বাক্য স্ফুরণের সঙ্গে সঙ্গেই ফুটিয়া উঠে। কিন্তু বাল্যে এই শক্তির তেমন বৃদ্ধি হয় না । যৌবন কাল হইতেই ইহার প্রকৃত শক্তি প্ৰকাশিত হইতে আরম্ভ হয় । এইজন্য তর্ক বিচার পরিপূর্ণ শাস্ত্ৰাদি ( জ্যামিতি, ব্যাকরণ প্ৰভৃতি ) অপরিণত বয়স্ক বালককে পড়াইলে কোন यक्त १७ बांग्र माँ ! বিচারের যে সমস্ত প্ৰণালী আছে, তাহার মধ্যে আরোহী ও অবরোহী প্ৰণালী শিক্ষাকাৰ্য্যে বিশেষ প্রয়োজনীয় (১) বৃক্ষ হইতে আপেল ফল বৃন্তচু্যত কুইয়া মাটীতে পড়িয়া গেল, উদ্ধ দিকে চলিয়া গেল না ; আকাশে ঢ়িল ছুড়িলে তাহা ক্ৰমাগত আকাশে চলিয়া গেল না, মাটীতেই ফিরিয়া আসিল ; যে পাখী ক্রমাগত উদ্ধে উঠিতেছে, তাহাকে গুলি করিয়া মারিলে, সে মাটীতে পড়িল । আর এই সমস্ত ঘটনা রাত্রে, দিনে, শীতে, গ্রীষ্মে, সৰ্ব্বকালে ; মরুভূমিতে, সাগরে, ইউরোপে, আফ্রিকায় 'সৰ্ব্বদেশে একরূপ ভাবেই সংঘটিত হইয়া থাকে । অতএব ইহাই সিদ্ধান্ত করা যাইতেছে যে সমস্ত দ্রব্যই পৃথিবী কর্তৃক আকৃষ্ট হইতেছে । এইরূপ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরীক্ষা করিয়া একটা সাধারণ সিন্ধান্ত ( মাধ্যাকর্ষণ ) নিৰ্দ্ধারণ করাকে, অর্থাৎ ছোট ছোট তত্ত্ব হইতে ধীরে ধীরে বৃহৎ তত্ত্বে আরোহণ করাকে “আরোহী প্ৰণালী” বলে । বিজ্ঞানের প্রায় তত্ত্বই এই প্ৰণালী অনুসারে নিৰ্দ্ধিারিত হইয়া থাকে ।