পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| दिवि चिन्ता سو কিণ্ডারগাটেন প্ৰণালী কি ?-বালকগণের স্বাভাবিক প্ৰবৃত্তি অনুসরণ করিয়া তাহাদিগের শিক্ষা পরিচালিত করাই কিণ্ডারগার্টেন প্ৰণালীর মূল উদ্যেশ্য । ক্রীড়াও ক্রীড়ণক পদার্থে, বালকগণের একটা স্বাভাবিক আশক্তি দেখিতে পাওয়া যায় । সংসারে সমস্ত পদার্থ অপেক্ষা খেলার সামগ্রীই বালকের নিকট সর্বাধিক প্ৰিয়তম পদার্থ। আর সৰ্ব্বকাৰ্য্য অপেক্ষ খেলাই তাহার সর্বাপেক্ষ প্ৰিয়তম কাৰ্য্য । সুতরাং এই ক্রীড়া ও ক্রীড়ণক গুলিকে যদি সুনিয়মিত করিয়া, কোন উদ্যেশ্যবিশেষ সম্পাদনের নিমিত্ত প্ৰয়োগ করিতে পারা যায়, তবে বালকগণ জ্ঞানোপাৰ্জনজনিত কষ্ট বোধ না করিয়াই বিদ্যালাভ করিতে সমর্থ হতুহবে } বিষ্ণু শৰ্ম্ম -এইরূপ স্বাভাবিক-প্রকৃতি-অনুস্থত শিক্ষাদানের পথ সুপ্ৰসিদ্ধ পণ্ডিত বিষ্ণুশৰ্ম্ম কর্তৃকই সর্ব প্ৰথমে নির্দিষ্ট হইয়াছিল বলিয়া মনে হয় । যখন বিদর্ভ রাজপুত্ৰকে (খৃঃ পূঃ ৬ষ্ঠ শতাব্দী বলিয়া কেহ কেহ অনুমান করেন ) কোন শিক্ষক বৰ্ণমালাও শিক্ষাদিতে পারিলেন না, তখন রাজা বিষ্ণুশৰ্ম্মাকে ডাকিয়া পাঠাইলেন । পণ্ডিতপ্ৰাবর রাজপুত্রের সমস্ত বৃত্তান্ত বিগত হইয়া, রাজাকে ইহাই বলিয়া সাবধান করিয়া দিলেন যে, “বিষ্ণুশৰ্ম্ম যে রাজপুত্রের শিক্ষাদানার্থ নিযুক্ত হইয়াছেন। ইহা যেন রাজপুত্ৰ জানিতে না পারেন।” পণ্ডিত দেখিলেন যে বালক কপোত পক্ষীর প্রতি অধিক পরিমাণে অনুরক্ত । তঁহার পূর্ববৰ্ত্তী শিক্ষকগণ বালকের এই কপোতাশক্তি নিবারণের নানারূপ চেষ্টা করিয়া বিফল মনোরাথ হইয়াছেন । কিন্তু বিষ্ণু শৰ্ম্ম বালকের এই কপোতাশক্তি নিবারণ না করিয়া, বরং কপোতের সংখ্যা বৃদ্ধির দিকেই যত্ন করিতে লাটুলেন। কপোত ক্রয়, কপোতশূহ 伊利神,事〔外忆乙颈 আহাঁর সংস্থান ইত্যাদি বিষয়ে হিষ্ণুশৰ্ম্মার বিশেষ যত্ন দেখিয়া বালক বিষ্ণুশৰ্ম্মার প্রতি অনুরক্ত হইরা উঠিল। এদিকে কপোতের সংখ্যা দিন দিন বুদ্ধি হওয়াতে তাহাদিগের নামাকরণ করা: অবশ্যক হইল । স্নান, হরি, ইত্যাদিরূপ নামকরণও হইল । কিন্তু এই সমস্ত নামে কপোতকে ডাকিলে, রাজবাড়ীর ঐ নামযুক্ত ভূত্যেরা আসিয়া উপস্থিত হইত। এই অসুবিধা নিবায়ণের জন্তু বিষ্ণুশৰ্ম্ম রাজকুমারকে অন্তরূপ নাম রাখিতে উপদেশ দিলেন। বালক, তাহার বন্ধু (শিক্ষক নয় ) বিষ্ণু শৰ্ম্মার উপর সে কাৰ্যোয় ভার অর্পণ করিল। বিষ্ণুশৰ্ম্ম তখন অ, আ, ক, খ, প্রভৃতি একাক্ষরী নামে কপোতগুলির নামাকরণ করিলেন। রাজপুত্র