পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RWobr विदिक्ष चिक्षन् | করিলে বলিতে বা লিখিতে ভুল হইবার সম্ভাবনা কম হয়, নুতন নূতন শব্দ গঠনে শক্তি জন্মে এবং রচনা করিবার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় । শিক্ষাদানের কথা -ছোট ছোট বালকগণকে ব্যাকরণ শিক্ষা দেওয়া একটু শক্ত কাজ, সন্দেহ নাই । কিন্তু শিক্ষক তেমন বিচক্ষণ ও ধৈৰ্য্যশীল হইলে কাৰ্য্য তত কঠিন বলিয়া বোধ হইবে না । তবে খুব নীচের শ্রেণীতে ব্যাকরণ শিক্ষণ দেওয়া যুক্তিযুক্ত নহে! নিম্নপ্ৰাথমিকের প্রথম শ্রেণীতে ব্যাকরণের শিক্ষা আরম্ভ করা যাইতে পারে । ‘ব্যাকরণের” সুত্ৰ, স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জন বৰ্ণ, কণ্ঠ্যাবর্ণ, "তালব্য বর্ণপ্রভূতি ব্যাকরণ সম্মত প্ৰণালী অনুসারে শিক্ষা দিবার প্রয়োজন নাই, কি প্ৰথমে পদের সূত্ৰাদিও শিক্ষা দিবার আবশ্যকতা নাই । কেবল দৃষ্টান্ত দ্বারা পদ পরিচয় করানই প্ৰথমে আবশ্যক । সৰ্ব্ব প্ৰথমে ‘বিশেষ্য পদ।” দৃষ্টান্ত দ্বারা কেবল বস্তু, ব্যক্তি ও জাতিবাচক বিশেষ্যই শিক্ষা निg ॐ झठेcद । বিশেষ্য ও ক্রিয় -গুণ বাচক ও ক্রিয়া বাচক বিশেষ্যাদি নিঃ প্ৰাঃ শ্রেণীতে শিক্ষা না দিলেও চলিতে পারে । অতি সহজেই বালকদিগের বস্তুবাচক বিশেষ্যের পরিচয় হইয়া যাইবে । বালকদিগকে বলিয়া দিতে হইবে যে বস্তু ‘বিশেষ্য’ নহে,-বস্তুর “নামা’ বিশেষ্য। বিশেষ্যের দৃষ্টান্ত দিতে হইবে । বিশেষ্য বোধ হইলেই সামান্য সামান্য ক্রিয়াপদ শিক্ষা দিতে হইবে ; “বালক পড়িতেছে’- বালক কি করিতেছে ? “পড়িতেছে’ । এখানে “পড়িতেছে’কে ক্রিয়াপদ বলে । “যদু লিখিতেছে’- যাদু কি করিতেছি ? “লিখিতেছে’ । এখানে ‘লিখিতেছে’ ক্রিয়াপদ। এইরূপ অনেক দৃষ্টান্ত দিয়া ২/৪ দিন বিশেষ্য ও তাহার ক্রিয়া পদ শিক্ষা দিতে হইবে । তার পর দুই শব্দ যুক্ত ( ভু বৃক্ক যোগে ।) ক্রিয়াপদের শিক্ষা আরম্ভ করিতে হইবে । যথা